ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পরে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। রয়েছেন জয়ের নায়ক মোসাদ্দেকও। ছবি: মোসাদ্দেক হোসেনের ফেসবুক পেজ থেকে।
বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শক্তির পরিচয় দিল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়ে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ট্রফি জিতল ‘টাইগার’রা।
বাংলাদেশের এই দারুণ জয়ের পিছনে রয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের ঝোড়ো ব্যাটিং। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম পঞ্চাশ করার নজির গড়লেন তিনি। বিধ্বংসী ইনিংসের পথে ম্লান হয়ে গেলেন ভারতের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিলদেব নিখাঞ্জ, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাও। কপিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১৯৮৩ সালের ২৯ মার্চ ২১ বলে পঞ্চাশ করেছিলেন। ব্রায়ান লারা ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কানাডার বিরুদ্ধে ২৩ বলে করেছিলেন পঞ্চাশ। শুক্রবার মাত্র ২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন বাংলাদেশের তারকা।
টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ক্যারিবিয়ানদের ইনিংসের ২০.১ ওভারে বৃষ্টি নামে। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ১৩১। খেলা বন্ধ থাকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা। পরে খেলা যখন শুরু হয়, তখন ম্যাচ হয়ে যায় ২৪ ওভারের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ১৫২ রান। ডাকওয়ার্থ-লিউয়িস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের টার্গেট বদলে যায়। ২৪ ওভারে ২১০ রান করলে বাংলাদেশ জিতবে এই অবস্থায় শুরুটা দুর্দান্ত করেন ওপেনার সৌম্য সরকার। ৪১ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১২তম ওভারে সৌম্য ফিরে যান। তখন বাংলাদেশের রান ছিল তিন উইকেটে ১০৯। মোসাদ্দেক হোসেন যে ম্যাচ বের করে আনবেন বাংলাদেশের জন্য, তা কেউ আশাও করেননি।
আরও খবর: অনন্য রেকর্ড গড়ার কিছু পরেই লজ্জার রেকর্ড! পাকিস্তানের পক্ষেই সম্ভব, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
আরও খবর: ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের বেদম মারে বোধোদয়, পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে ফিরলেন তারকা পেসার
প্রতিশ্রুতি জাগিয়েই বাংলাদেশের হয়ে ক্রিকেটজীবন শুরু করেছিলেন মোসাদ্দেক। কিন্তু, নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। আড়াই বছর আগে একবার পঞ্চাশ করেছিলেন তিনি। সেই মোসাদ্দেকই দরকারের সময়ে জ্বলে উঠলেন। ২৪ বলে দু’টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ তিন ওভারে জেতার জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৭ রান। ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের ওভারে ২৫ রান নেন মোসাদ্দেক। তখনই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। বিশ্বকাপের আগে মোসাদ্দেকের ইনিংস স্বস্তি দিল বাংলাদেশ সমর্থকদের।