এক ঢিলে দুই পাখি মারার সুযোগ ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের!
যে টিমের কাছে হেরে লাল-হলুদে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলেন, সেই লাজং এফসি-কে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে আই লিগে হারের বদলা তো নিতে পারবেনই। এমনকী নতুন টুর্নামেন্টের শুরুতে বিপক্ষ টিমগুলোর কাছে একটা বার্তাও পৌঁছে দিতে পারবেন— ফেড কাপ বরাবরের পয়া টুর্নামেন্ট মর্গ্যানের।
অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও লাল-হলুদ কোচের সুবিধা হল, লাজং আর অজানা প্রতিপক্ষ নয় তাঁর কাছে। আই লিগে যে সমস্যাটা হয়েছিল মর্গ্যানের। তাই রবিবারের ম্যাচের জন্য জোরদার প্রস্তুতি নিয়ে নামছেন তিনি। শুরুতেই নিজের ডিফেন্সকে জোরদার করতে অভিজ্ঞ দীপক মণ্ডলকে ফিরিয়ে নিয়ে আসছেন দলে। গত ম্যাচের প্রথম এগারো থেকে সম্ভবত এই একটাই পরিবর্তন হচ্ছে লাল-হলুদে।
এ বার আক্রমণাত্মক ফুটবল। টিম সূত্রের খবর, মর্গ্যান শুরুর কুড়ি মিনিটের মধ্যেই গোল তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। যাতে বিপক্ষকে চাপে রাখা যায়, নিজের টিমের মনোবলও শুরুতে বাড়িয়ে নেওয়া যায়। লাল-হলুদের এক ফুটবলার বলছিলেন, ‘‘আমরা বদলা নেওয়ার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামতে চাই না। তা হলে আমাদের উপর বাড়তি চাপ পড়বে। এই ম্যাচটা টিমের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে করেই হোক লাজংকে যদি হারাতে পারি, তা হলে ফেড কাপে আমাদের আর কেউ আটকাতে পারবে না।’’
মুখে বলা সহজ। কাজে নয়। লাজং তার ঘরের মাঠে সব সময় কঠিন প্রতিপক্ষ। তার ওপর কলকাতার চড়া গরম থেকে হঠাৎ শিলংয়ের ঠান্ডা আবহাওয়ায় মানিয়ে নেওয়াও একটা বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। যদিও মর্গ্যান শনিবার সকালে কলকাতা থেকে প্র্যাকটিস সেরে গেলেও, রবিবারও শিলংয়ে ম্যাচের দিন সকালে কিছুক্ষণ প্র্যাকটিস করতে চাইছেন। যাতে সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনও অসুবিধা না হয় মেহতাব-র্যান্টিদের। তবে আবহাওয়া নয়, মর্গ্যানের প্রধান চিন্তা তলালিতে চলে যাওয়া ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস। টিমের এক ফুটবলার শিলং থেকে ফোনে বলছিলেন, ‘‘হঠাৎ করে একটা টিমকে তো আর ম্যাজিকে বদলে ফেলা যায় না। আমাদের এখন এক এবং একমাত্র লক্ষ্য হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া। এই ম্যাচ থেকে আমরা উইনিং টিম কম্বিনেশন তৈরি করে ফেলতে চাই।’’
ইস্টবেঙ্গলের জন্য আরও একটা সুখবর, ফেড কাপের প্রথম ম্যাচেই আইজলের কাছে ১-২ হেরে গেলেন আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এ দিন বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে একেবারে শেষ মিনিটে গোল করে ফেড কাপের শুরুতেই চরম অঘটন ঘটালেন আইজলের জোয়েন সানডে। তবে বেঙ্গালুরুর হারের চেয়েও যেটা বেশি তাৎপর্যপূর্ণ, সুনীলদের হারে সুবিধা হল ইস্টবেঙ্গলের।
এখন দেখার, এই সুযোগের সদ্ব্যবহার রবিরার শিলংয়ে করতে পারেন কি না ডং-র্যান্টিরা!