চার বছর পরে ফের ক্লাব কোচিংয়ে ফিরলেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য।
ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম জাতীয় লিগ দেওয়া কোচকে এ বার দেখা যাবে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর রিজার্ভ বেঞ্চে। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের দল টালিগঞ্জের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের অন্যতম সেরা প্রাক্তন স্টপার বলে দিলেন, ‘‘প্রস্তাবটা এসেছিল তিন-চার দিন আগে। আমি কয়েক দিন ভেবে বুধবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সামনের সপ্তাহে ওই ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে বসে দল নিয়ে আলোচনা করব।’’ এর আগে দু’বছর পোর্ট ট্রাস্টের মতো ছোট দলে কোচিং করিয়েছেন মনোরঞ্জন। ২০১২-১৪ তে। হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরছেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘এখন তো ইস্টবেঙ্গলে বা মোহনবাগানে কোচিং করানোর সুযোগ নেই। তাই টালিগঞ্জের প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলাম। গত মরসুমে ইস্টবেঙ্গল ডেকেছিল বলে গিয়েছিলাম ওদের কোচকে সাহায্য করতে। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে সরে এসেছিলাম।’’
ইস্টবেঙ্গলকে তিন দফায় কোচিং করিয়েছেন মনোরঞ্জন। জিতেছেন ট্রফি। ফুটবলার হিসাবে এক বছর ছাড়া সারা জীবন খেলেছেন লাল-হলুদ জার্সি পরে। মনোরঞ্জনকে তাই বলা হয় ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে। এ বার কলকাতা লিগে সেই দলকে হারানোর জন্য জীবনে প্রথম বার রণনীতি তৈরি করতে হবে মনোরঞ্জনকে। এটা কী ভাবে দেখছেন? অভিমানী মনোরঞ্জন বলে দেন, ‘‘আমি ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে, এটা কারা বলে জানি না। আমি কারও ঘরের ছেলে নই। পোর্টে যখন দু’বছর কোচিং করিয়েছিলাম তখন মোহনবাগান-মহমেডানের বিরুদ্ধে খেলেছি। ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হতে হয়নি। এ বার খেলব। জেতার চেষ্টা করব। যদিও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার সময় আমার আলাদা কোনও অনুভূতি থাকবে না।’’
জাতীয় লিগ বা আই লিগ পাওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় লাইসেন্স না থাকায় সুভাষ ভৌমিক, সুব্রত ভট্টাচার্য, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যরা আই লিগে কোনও দলের কোচ হতে পারছেন না। কোচিংয়ের ইচ্ছেটা তাঁরা পূরণ করছেন নানাভাবে। যেমন ক্লাব পর্যায়ে অন্যতম সফল কোচ সুভাষ ইস্টবেঙ্গলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হয়ে মাঠে নেমে কোচিং করাবেন এ বার। কিন্তু খাতায় কলমে কোচ হিসাবে থাকবেন বাস্তব রায়ের মতো ‘এ’ লাইসেন্সধারী। আর ভবানীপুরের কোচ হিসেবে সুব্রত ভট্টাচার্য এবং টালিগঞ্জের কোচ হয়ে মনোরঞ্জনকে দেখা যাবে কলকাতা লিগে। মনোরঞ্জন বললেন, ‘‘যে সুযোগটা পাচ্ছি সেটাই কাজে লাগাব।’’
এ দিকে স্পনসর সমস্যায় তীব্র আর্থিক সঙ্কটে ইস্টবেঙ্গল। এই অবস্থায় আপাতত এক সপ্তাহের জন্য বিদেশি ফুটবলার নির্বাচন স্থগিত রাখছেন লাল হলুদ কর্তারা।