সোমবার ১৬ দিনে পড়ল কুস্তিগিরদের ধর্না। ছবি: পিটিআই
কুস্তি সংস্থার সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের গ্রেফতারির দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছেন দেশের সেরা কুস্তিগিরদের একাংশ। সোমবার তাঁদের প্রতিবাদ ১৬ দিনে পড়ল। এখনও অধরা সমাধান সূত্র।
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে তাঁর অপসারণ এবং গ্রেফতারের দাবিতে অনড় বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটের মতো কুস্তিগিররা। তাঁদের সমর্থন জানিয়েছেন দেশের প্রথম সারির ক্রীড়াবিদদের অনেকে। পঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষক সংগঠন এবং নেতারা সরাসরি কুস্তিগিরদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিক আশ্বাস দেওয়া হলেও প্রতিবাদী কুস্তিগিররা তাঁদের দাবিতে অনড়।
শনিবার রাতে স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (সাই) দুই প্রতিনিধির সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রতিবাদীদের ন’সদস্যের কমিটি। সাইয়ের তরফে আলোচনায় বসেছিলেন ডিরেক্টর জেনারেল সন্দীপ প্রধানও। তাতেও কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। সোমবার সাক্ষী এ কথা জানিয়েছেন।
এর পর রবিবার পঞ্জাব, হরিয়ানার খাপ পঞ্চায়েতের নেতারা কুস্তিগিরদের সমর্থনে এবং আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা তৈরি করতে মহাপঞ্চায়েত বসায়। সেখানে খাপ নেতা এবং কৃষকনেতাদের নিয়ে ৩১ জনের একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। এই কমিটিই আন্দোলনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
কুস্তিগিরদের প্রতিবাদের জায়গা ঘিরে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। কৃষকরা ব্যারিকেড ভেঙে এক দিন কুস্তিগিরদের কাছে পৌঁছে যাওয়ায় সোমবার ব্যারিকেড ওয়েল্ডিং করে দেওয়া হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও। ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন, সংযুক্ত কিসান মোর্চা-সহ একাধিক সংগঠনের নেতারা কেন্দ্রকে ২১ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। যদিও ব্রিজভূষণ প্রথম থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।