সফল: চলছে সেরিনা (ডান দিকে), আজারেঙ্কার কর্তৃত্ব। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের মহিলাদের সিঙ্গলসে মায়েদের জয়জয়কার। সেরিনা উইলিয়ামস, ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা এবং সেতানা পিরোনকোভা, যাঁদের বলা হচ্ছে ‘ব্যান্ড অব মাদার্স’, তৃতীয় রাউন্ডে উঠেছেন। এ বার ফ্লাশিং মেডোজে ৯ জন মা সিঙ্গলসে লড়াই করতে নেমেছিলেন। তাঁদের মধ্যে কিম ক্লিস্টার্স, ভেরা জোনারেভা, তাতানা মারিয়া, ক্যাটেরিনা বোন্দারেঙ্কো, প্যাট্রিসিয়া মারিয়া টিগ এবং ওলগা গোভোর্তসোভা এই ছ’জন ছিটকে গিয়েছেন। পিরোনকোভা আবার সন্তান হওয়ার পরে তিন বছরে প্রথম প্রতিযোগিতা খেলতে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে। তাই র্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে নেই তিনি। তিনি অঘটন ঘটান দশম বাছাই গারবিনে মুগুরুজাকে ৭-৫, ৬-৩ হারিয়ে।
প্রাক্তন বিশ্বসেরা সেরিনা ৬-২, ৬-৪ উড়িয়ে দেন রাশিয়ার মার্গারিটা গাসপারিয়ানকে। পিরোনকোভা এবং সেরিনার সঙ্গে পরে তৃতীয় রাউন্ডে ওঠেন আর এক প্রাক্তন বিশ্বসেরা আজারেঙ্কা। তিনি হারান বেলারুশের সতীর্থ এবং পঞ্চম বাছাই আরিনা সাবালেঙ্কাকে ৬-১, ৬-৩। ২০১৮ সালের এপ্রিলে পিরোনকোভা মা হন। মাতৃত্ব টেনিস কেরিয়ার নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গিটাই বদলে দিয়েছে তাঁর। বলছিলেন, ‘‘সব কিছু বদলে গিয়েছে। এই মুহূর্তে টেনিস কোর্টে ফিরতে পেরে দারুণ খুশি। আমার ছেলে কোর্টে আমাকে খেলতে দেখছে, এটা আরও আনন্দ দিচ্ছে। জানি না এ ব্যাপরটা কী ভাবে ব্যাখ্যা করব, তবে আগের মতো খেলতে নেমে চাপ অনুভব করছি না।’’
আজারেঙ্কা আবার আশা, যে সব বাবা-মায়েদের পরিবার ও পেশা দুটোকেই সামলাতে হয়, তাঁদের আরও প্রেরণা দিতে পারবেন তাঁরা। ‘‘মেয়েরা যারা সব কিছু সামলে নিজেদের স্বপ্নপূরণের জন্য এগিয়ে আসতে পারছে, তারা সবাই হিরো। এদের সবাইকে আমি আরও উৎসাহ দিতে চাই। আশা করছি এ রকম আরও মেয়েরা উঠে আসবে।’’
টেনিসের পেশাদার যুগে মাত্র তিন জন মা হওয়ার পরে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন— বেলজিয়ামের ক্লিস্টার্স, অস্ট্রেলিয়ার এভোনে গুলাগং এবং মার্গারেট কোর্ট। এঁদের মধ্যে তৃতীয় জনের সিঙ্গলসে সর্বাধিক ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডও রয়েছে। সেরিনা এ বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতলে একই সঙ্গে কোর্টের দুটি নজিরই স্পর্শ করবেন। দ্বিতীয় রাউন্ডের জয়ের পরে তিনি বলেছেন, ‘‘নিজের উপরে চাপটা কমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। টানা ২০টা পয়েন্ট হারলাম কি না, সেটা বড় কথা নয়। নিজেকে বলছি, যাই হোক সব ঠিক আছে। আমি কোর্টে নেমেছি, খেলছি। আমি খুশি।’’ পুরুষদের সিঙ্গলসে ছিটকে গিয়েছেন অ্যান্ডি মারে। প্রাক্তন বিশ্বসেরাকে ৬-২, ৬-৩, ৬-৪ হারান ২০ বছর বয়সি ও ১৫ নম্বর বাছাই ফেলিক্স অগার আলিয়াসিমে।