মোহনবাগান ২ আইজল এফসি ১
(গ্লেন-২, বলবন্ত) (প্রীতম-সেমসাইড)
গত মরশুমের আই লিগ যেখানে শেষ করেছিল মোহনবাগান, সেখান থেকেই শুরু হয়ে গেল এই মরশুমের লিগ দৌড়। চ্যাম্পিয়নরা জয় দিয়েই শুরু করল। যদিও প্রথমার্ধে ৩-১ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করেও ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। শুরুতেই জয় এল ঠিকই। কিন্তু জয়ের উচ্ছ্বাসে একটু হলেও ধাক্কা দিল প্রীতম কোটালের সেমসাইড গোল। না হলে ম্যাচের ফল ৩-০ হত। নতুন দল আইজল এফসি চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধই তৈরি করতে পারল না। জুয়ালা, ইমানুয়েলরা গুটিয়ে থাকলেন চ্যাম্পিয়নদের সামনে। ছ’মিনিটে কর্নেল গ্লেনের গোলে এগিয়ে যাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই মোহনবাগানের রাইটব্যাক প্রীতম কোটালের সেমসাইড গোলে সমতায় ফেরে আইজল এফসি। আইজল স্ট্রাইকার জয়রামের শট বক্সের মধ্যে থেকে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই বল পাঠিয়ে দেন প্রীতম। যদিও এমন পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো গোল ধরে রাখতে পারল না আইজল।
আরও খবর পড়ুন : আই লিগের শুরুতেই চোট সমস্যায় মোহনবাগান
২২ মিনিটেই কর্নেলের দ্বিতীয় গোলে এগিয়ে গেল বাগান। বলবন্ত-কর্নেল জুটির সাফল্যের ফল এই গোল। কাউন্টার অ্যাটাকে বলবন্তই বল নিয়ে দৌঁড় শুরু করেছিল প্রতিপক্ষের বক্সের দিকে। বলবন্তের পাস থেকে কর্নেলের দুরন্ত শট চলে যায় গোলে। আইজল গোলকিপারের কিছু করার ছিল না। যদিও প্রথমার্ধের শেষের দিকে বেশ কয়েক বার আক্রমণে উঠতে দেখা গেল আইজলকে। যার ফলে প্রচুর কর্নার আদায় করে নিয়েও গোলের মুখ খুলতে পারল না মিজোরামের এই দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মাঝমাঠে মনীশ ভার্গবকে তুলে অনুশীলনে চোট পাওয়া বিক্রমজিৎ সিংহকে নামিয়ে দিলেন সঞ্জয় সেন। মোহনবাগানের রক্ষণের মধ্যেও বেশ কয়েক বার বোঝাপড়ার অভাব দেখা গেল। এর মধ্যেই মোহনবাগান কোচের প্রাপ্তি ফরোয়ার্ডে বলবন্ত-গ্লেনের।
মোহনবাগানের মতোই জয় দিয়ে শুরু করল রানার্স বেঙ্গালুরু এফসি। বিনিত ও সুনীল ছেত্রীর গোলে সালগাওরকে হারিয়ে দেয় বেঙ্গালুরু। ম্যাচের ফল ২-১। সালগাওকরের হয়ে একমাত্র গোলটি করেল ড্যারেল ডাফি। রবিবার আই লিগ অভিযান শুরু করছে ইস্টবেঙ্গল। গোয়ার মাটিতে স্পোর্টিং ক্লুবের বিরুদ্ধে খেলবে লাল-হলুদ ব্রিগেড।