মৃত্য়ুর সময় গীতানাথ বাবুর বয়স হয়েছিল ৮৩। ছবি ফেসবুক থেকে নেওয়া।
প্রয়াত মোহনবাগানের প্রেসিডেন্ট ও আইনজীবি গীতানাথ গঙ্গোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৮৩। হৃদরোগের শিকার হলেন তিনি।
পেশায় আইনজীবি হলেও তিনি ছিলেন আদ্যন্ত মোহনবাগান প্রেমী। দীর্ঘদিন ধরে মোহনবাগানের সদস্যও ছিলেন। প্রয়াত অঞ্জন মিত্র যখন ক্লাবের সচিব ছিলেন, তখন ক্লাবের আইনি ব্যাপার তিনিই দেখতেন। গত বছর টুটু বসু ক্লাবের সচিব হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল গীতানাথ বাবুকে। কিন্তু বেশিদিন প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারলেন না তিনি।
ডিসেম্বরের গোড়ায় সিটি সিভিল কোর্টের বাইরে দুর্ঘটনা ঘটেছিল তাঁর। পিছন থেকে এসে তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মেরেছিল অন্য গাড়ি। পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। চোটও পেয়েছিলেন। বাঁ পায়ের ঊরুতে অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁর। নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পথে প্রাণ হারান তিনি। ডাক্তারদের মতে, পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটে তাঁর।
গীতানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে ময়দানে নেমে এসেছে শোক। তাঁর মরদেহ সন্ধেয় মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে আনার কথা ছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত পাল্টে তা আনা হবে বুধবার।