দাদা-ভাইয়ের ধুন্ধুমার গৃহযুদ্ধ ঘিরে আজ বুধবার বিকেলে উত্তপ্ত হবে মোহনবাগান মাঠ।
সবুজ-মেরুন জার্সিতে খেলতে নামবেন আনসুমানা কামো বাই আর আকাশি জার্সিতে তাঁর নিজের ভাই বাজু আর্মান্ড। সবথেকে মজার ব্যাপার, আইভরি কোস্টের একই বাড়িতে বড় হয়েছেন দু’জনে। সেখান থেকেই আজ দু’জনে মাঠে নামবেন, একে অন্যকে হারানোর শপথ নিয়ে।
কামো ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন ছয় গোল। আর তাঁর ভাই বাজু করেছেন একটি। কামো খেলেন স্ট্রাইকারে। আর বাজু মাঝমাঠে। মোহনবাগানের কামোর আবার জোড়া লড়াই। নিজের ভাইয়ের সঙ্গে শুধু নয়, আই লিগের টিমে ঢোকার জন্যও তাঁকে লড়তে হবে সতীর্থ আনসুমানা ক্রোমার সঙ্গেও। কারণ মোহনবাগান কর্তারা ঠিক করেছেন দু’জনের মধ্যে একজনকে আই লিগে দলে রাখবেন। পাঁচ ম্যাচে মোহনবাগানের করা ১৫ গোলের মধ্যে দু’জনের গোল হয়ে গিয়েছে ১০টি। এর মধ্যে ক্রোমার চার। মোহনবাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীও। এ দিন বলছিলেন, ‘‘ওরা যত বেশি গোল করবে, ততই টিম উপকৃত হবে। যা আমরা চাইছি।’’ কামো-ক্রোমা এ বার দুর্গাপুজোয় দক্ষিণ কলকাতার একটি পুজো মণ্ডপে থিম সং গাইবেন।
আরও পড়ুন: ‘হাজার গোল করলে আমার সমান হবে’
রেনবোর হাল একেবারেই ভাল নয়। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জিতেছে নিউ ব্যারাকপুরের নতুন ক্লাবটি। সেই দলকেও শঙ্কর গুরুত্ব দিচ্ছেন, কারণ তিন জন ভাল বিদেশি আছে বলে। আজহারউদ্দিন মল্লিকের হাঁটুর নীচের হাড় সামান্য বেড়েছে। তাঁর জায়গায় আজ খেলবেন হয়তো নিখিল কদম। শান্তা ডি’সিলভারও চোট আছে। সেই জায়গায় খেলতে পারেন পিন্টু মাহাতো।
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ—মোহনবাগান : রেনবো (মোহনবাগান ৫-০০)