রাজ্য হকি সংস্থার আওতায় থাকা ঘেরা মাঠে দুই প্রধান অনুশীলন করতে পারবে কি না তা নিয়ে ডামাডোল তুঙ্গে। কর্তাদের মধ্যেই মতবিরোধ। এ রকম একটা আবহে আজ বুধবার থেকে আই লিগের অনুশীলন শুরু হচ্ছে মোহনবাগানে।
ন’দিন পরে ফের সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফ সি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্যারেল ডাফিদের। খেতাবের যুদ্ধে টিঁকে থাকতে হলে ওই ম্যাচে জিততেই হবে সঞ্জয় সেনের টিমকে। আর সেই লড়াইয়ের আগে মনসংযোগ ঠিক রাখতে সনি নর্দে-এদুয়ার্দোদের কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছেন সবুজ মেরুন কোচ। মঙ্গলবার রাতে মোহনবাগান কোচ বলে দিলেন, ‘‘ফুটবলাররা নানা রকম কথা বললে টিমে সমস্যা হয়। সেটা আমি চাই না। আমি ছুটি দেওয়ার সময় বিমানবন্দরেই বলে দিয়েছি, সামনে কঠিন সময় রয়েছে। কথা বলে ফোকাস নষ্ট করা যাবে না’’
শোনা যাচ্ছে, জরিমানা চালু হতে পারে মোহনবাগানেও। কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারটা চূড়ান্ত করবেন সঞ্জয়। সনি এবং ইউসা কাতসুমি দেরিতে আসবেন প্রীতম কোটাল আর জেজে লালপেখলুয়া জাতীয় দলে। এঁদের ছাড়া বাকি সব ফুটবলারকেই আজ মাঠে পাবেন মনে করছেন সঞ্জয়।
কিন্তু প্রশ্ন হল, ড্যারেল ডাফিরা মাঠে নামলে অনুশীলন করতে পারবেন তো? সেনাবাহিনী বা মাউন্টেড পুলিশ এসে তাদের বাধা দেবে না তো? এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটেনি।
বেঙ্গল হকি সংস্থার অন্দরেই কর্তারা দু’ভাগ। বিএইচএ সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘সকালে ফুটবল, বিকেলে হকি হবে। মোহনবাগানের অনুশীলন হবেই।’’ আর সংস্থার সহ-সচিব ইস্তিয়াক আলি বলছেন, ‘‘মাঠ হকির। সেখানে ফুটবল হবে কী করে?’’ আর দায়িত্বপ্রাপ্ত এক সেনা কর্তা বললেন, ‘‘অভিযোগ যদি আসে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেব। ফুটবল বন্ধ করে দেব।’’
দেখার শেষ পর্যন্ত কে জেতে হকি না ফুটবল।