ইউতা কিনওয়াকি। ফাইল ছবি।
টানা দুই ম্যাচে জিতল মোহনবাগান। আই লিগের খেতাবি দৌড়ে তারা যে এখনও প্রবলভাবেই রয়েছে তা’ও স্পষ্ট হয়ে পড়ল। যুবভারতীতে রবিবারের লাজং ম্যাচের আগে মোহনবাগান আই লিগের পয়েন্ট টেবলে ছয় নম্বরে ছিল। ৮ ম্যাচ খেলে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দলের ছেলেদের ঝুলিতে ছিল ১২ পয়েন্ট।
পাক্কা এক সপ্তাহ আগে চিরশত্রু ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারার পর সবুজ-মেরুন বাহিনী মিনার্ভার বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে এসেছে। তবে, রবিবার বিকেলে পাহাড়ি দলটির বিরুদ্ধে জয় তুলে নেওয়াটা খুব দরকার ছিল মোহনবাগানের পক্ষে। এই ম্যাচেও সনি নর্দে ছিলেন না। তবে, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখার পর এক ম্যাচের সাসপেনশন কাটিয়ে ফিরেছিলেন নির্ভরযোগ্য স্টপার কিংসলে।
খেলার ২৩ মিনিটে কলকাতা লিগে নজরকাড়া সৌরভ দাসের পরিবর্তে শঙ্করলাল নামান অভিজ্ঞ মেহতাব হোসেনকে। প্রথমার্ধে প্রাধান্য ছিল মোহনবাগানেরই। বল দখলের লড়াইতেও এগিয়ে ছিল তারাই। বিরতির ঠিক পর আজহারউদ্দিনকে তুলে নিয়ে শেখ ফৈয়াজকে নামান মোহন কোচ। তার ঠিক পরেই মোহনবাগানের গোল।
আরও পড়ুন: ন্যু ক্যাম্পে সৌরভ, পেলেন ‘দাদা’ লেখা বার্সার জার্সি
আরও পড়ুন: কোচ সোলসারের দুর্দান্ত শুরু, হেরে বসল ম্যান সিটি
বাঁ প্রান্ত থেকে ভাসানো অভিষেক অম্বেকরের ক্রসে পা ছুঁইয়ে চমত্কার শট লাজং জালে জড়িয়ে দেন জাপ মিডিও ইউতা কিনওয়াকি। এরপরও মোহনাবাগান বিপক্ষ গোলমুখে আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছে। তারই ফসল ৬০ মিনিটে হেনরি কিসেক্কার গোল। লাজং ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ সদ্ব্যবহার করেন গোকুলম থেকে আসা আফ্রিকান স্ট্রাইকার। ফৈয়াজের পাস ধরে ডিকা যে শট নেন তা কোনওক্রমে বাঁচিয়ে দেন পাহাড়ি দলটির ডিফেন্ডার লালরোহলুয়া। ফিরতি বলে তা জালে পাঠান হেনরি।
খেলার শেষদিকে মোহনবাগান ব্যবধান বাড়ানোর তেমন সুযোগ পায় নি। কোচ শঙ্করলাল গোলদাতা ইউতাকে তুলে নিয়ে মাঠে নামান ড্যারেন কেলডেইরাকে। লাজং ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও সফল হয়নি। বাগান গোলরক্ষক শঙ্কর রায় বেশ নজর কাড়লেন।
এবারের আই লিগে রবিবার ঘরের মাঠে প্রথম জয় পেল মোহনবাগান। এই জয়ের ফলে আপাতত লিগ টেবলে চার নম্বরে উঠে এল তারা। ৯ ম্যাচ খেলে মেরিনার্স-দের ঝুলিতে ১৫ পয়েন্ট।