mohun bagan

ডার্বি জিতে ফাইনালে অনুষ্টুপরা

টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভবানীপুর। এ বার দেখার ওয়ান ডে-র ফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সন্দীপন দাসের দল জিততে পারে কি না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১ ০৫:০১
Share:

n সফল: ম্যাচ জেতার পরে অভিমন্যু ও বিবেক। শনিবার। সিএবি

টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে মোহনবাগানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ ছিল ভবানীপুর। সিএবি আয়োজিত ওয়ান ডে প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল শেষে ডার্বির অঙ্ক দাঁড়াল ১-১। এ বার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ফাইনালে মোহনবাগান। প্রতিপক্ষ সেই ভবানীপুর।

Advertisement

টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভবানীপুর। এ বার দেখার ওয়ান ডে-র ফাইনালে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সন্দীপন দাসের দল জিততে পারে কি না।

শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে শুরুটা খারাপ করেনি ইস্টবেঙ্গল। ১০৮ রানের জুটি গড়ে লাল-হলুদ শিবিরের দুই ওপেনার রণজ্যোৎ সিংহ খাইরা ও অঙ্কুর পাল। কিন্তু মাঝের দিকে ক্রমাগত উইকেট হারিয়ে তিনশো রানের গণ্ডি পেরোতে ব্যর্থ অর্ণব নন্দীর দল। ২৭৮-৮ স্কোরে ইনিংস শেষ করে তারা। এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে অনুষ্টুপ মজুমদারের মোহনবাগান।

Advertisement

সবুজ-মেরুন শিবিরের ওপেনারেরাও দুরন্ত শুরু করেন রান তাড়া করতে নেমে। অভিমন্যু ঈশ্বরন ও বিবেক সিংহ হাফসেঞ্চুরি করে মোহনবাগান শিবিরে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন। ১২৬ রান যোগ করে এই জুটি। ৫৫ রান করে শ্রেয়ান চক্রবর্তীর বলে ফিরে যান অভিমন্যু। বিবেক করেন ৬৮ রান। বাঁ-হাতি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের রানের ছন্দ এখনও বজায় রয়েছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ৪৭ রান করে গেলেন তিনি। অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার ১৫ রান করে ফিরে গেলেও দলের দুরন্ত লড়াইয়ে খুশি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘‘দলীয় প্রয়াসে জিতেছি এই ম্যাচ। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিলাম। তাই এই ম্যাচে বাড়তি চাপ ছিলই। সেমিফাইনালে ডার্বি মানে আলাদা উত্তেজনা। গত প্রতিযোগিতায় হারার ফলে এই ম্যাচ জেতার জেদ চেপে গিয়েছিল প্রত্যেকের মধ্যে।’’ ওপেনারদের দুরন্ত জুটির প্রশংসা করলেন অধিনায়ক। বলছিলেন, ‘‘বিবেক ও অভিমন্যু দু’জনেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। এ ধরনের চাপের ম্যাচ কী ভাবে বার করতে হয় ওরা জানে। অসাধারণ ভাবে ইনিংসটা শুরু করেছে। বল হাতেও রাজকুমার পালের প্রশংসা করতেই হচ্ছে।’’ ফাইনালে ভবানীপুরকে হাল্কা ভাবে নিচ্ছেন না মোহনবাগান অধিনায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘নিঃসন্দেহে ওরা ভাল দল। একেবারেই হাল্কা ভাবে নেওয়া যাবে না। প্রত্যেকে সেরাটা দিলে, এই প্রতিযোগিতা জিতে মরসুম শেষ করতে পারব।’’

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইস্টবেঙ্গল ২৭৮-৮ বনাম মোহনবাগান ২৮০-৭ (বিবেক ৬৮)। তিন উইকেটে জিতে ফাইনালে মোহনবাগান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement