সৃঞ্জয় বোস ও দেবাশিস দত্ত। —ফাইল চিত্র।
১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে মোহনবাগানকে। বৃহস্পতিবার গঙ্গাপাড়ের ক্লাবকে দিন বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। স্পষ্ট করেই এ দিন ক্লাবের দুইপক্ষকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর ববি শরাফ।
গত মাসে ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা যে ভাবে উত্তপ্ত হয়েছিল তা দেখেছে গোটা দেশ। এক সময় একসঙ্গে ক্লাব চালানো সতীর্থরা যে এ ভাবে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি ও বিশ্রী ব্যবহারে জড়াতে পারেন সেটা কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি। কিন্তু কেউ গদি ছাড়ব না। সেই জায়গা থেকে সভার মঞ্চেই দুই পক্ষের মারপিট দেখেছে ফুটবল মহল। শেষ পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতেই হয়েছে আদালতকে।
নির্বাচন যাতে সঠিক পথে এগোয় সে জন্য তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যের সেই বোর্ডে রয়েছেন বিচারপতি সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়, অসীম রায় ও দিলীপ শেঠ। মোহনবাগান ক্লাব ও নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী যাতে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন হয় সে দিকেই নজর রাখবে এই কমিটি। ক্লাবের দু’পক্ষের তরফে দু’জন করে থাকবেন এই কমিটির সঙ্গে। এই চার জনের মধ্যে সচিব অঞ্জন মিত্রদের পক্ষ থেকে রয়েছেন অঞ্জন মিত্র নিজেই। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর কন্যা সোহিনী চৌবে। অন্যদিকে সভাপতি টুটু বসুদের তরফে রয়েছেন, প্রাক্তন সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু ও বিশ্বব্রত বসু মল্লিক।
আরও পড়ুন
ফাইনালে আজ ডার্বি ছোটদের
এ দিন বিচারপতি ববি শরাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁরা ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন তাঁরা কোনওভাবেইন ক্লাবের কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। ভোট হয়ে যতদিন না নতুন কমিটি গঠন হচ্ছে ততদিন বর্তমান কমিটিই কাজ চালাবে। তার আগে পর্যন্ত বড় কোনও অঙ্কের টাকা খরচ করতে হলে তা তিন সদস্যের বোর্ডকে আগাম জানাতে হবে। এর আগে মোহনবাগানে ভোট হয়েছিল ২০১৫ সালে ১৭ মে।
মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র। —ফাইল চিত্র।