শেষ ম্যাচে দলকে জেতানোর পর মিতালি রাজ। ফাইল চিত্র
সিনিয়র ক্রিকেটারদের কি একটা সময়ের পর জুনিয়রদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত? বহু চর্চিত এই প্রশ্নটা আরও একবার উঠে গেল মহম্মদ কাইফের হাত ধরে। মিতালি রাজের খেলার বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার এই প্রসঙ্গ তুলেছেন।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ ১-২ ব্যবধানে হেরে গেলেও মিতালির প্রশংসা করেন কাইফ। শেষ ম্যাচে ভারতের মহিলা দলের অধিনায়ক ৮৬ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ২২০ রান তাড়া করে তিন বল বাকি থাকতে চার উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারতের প্রমিলা বাহিনী। আর তাই মহম্মদ কাইফ মনে করেন মিতালির অবদান ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
মিতালি সম্পর্কে মতামত দিতে গিয়ে কাইফ টুইটারে লিখেছেন, ‘মিতালির এই ইনিংস জুনিয়রদের কাছে এক উদাহরণ তৈরি করল। সিনিয়রদের অবদান ভুলে যাওয়া উচিত নয়। ইংল্যান্ড সফরে মিতালির ব্যাটিং সেটা ফের বুঝিয়ে দিল। জুনিয়রদের অবশ্যই সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু সেটার জন্য সিনিয়রদের অহেতুক ছেঁটে ফেলা উচিত নয়। এটা ক্রিকেটের বহু পুরনো পাঠ।”
গত দুই ম্যাচে দল ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য হারলেও মিতালি কিন্তু ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। প্রথম একদিনের ম্যাচে ৭২ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৯ রান। তিন ম্যাচে ১০৩ গড় নিয়ে মোট ২০৬ রান করেছেন মিতালি। একই সঙ্গে ২১৭টি একদিনের ম্যাচে সর্বাধিক ৭৩০৪ রান করে ইংল্যান্ডের শার্লট এডওয়ার্ডসকে টপকে গিয়েছেন তিনি।
মিতালিও মনে করেন এই জয় আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। সাংবাদিক সম্মেলেন মিতালি বলেন, “এই যাত্রাটা আমার সহজ ছিল না। নানা পরীক্ষা এবং চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়েই আমাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে। সেই লড়াই করতে করতেই ২২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন পেরিয়ে গেল। কিন্তু রানের খিদেটা আমার একই রয়ে গিয়েছে। আমি এখনও দেশের জন্য আরও রান করতে চাই। আরও সাফল্য ভারতকে এনে দিতে চাই। আমি জানি, ব্যাটিংয়ের কিছু কিছু জায়গায় আমার এখনও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। আমি সেই নিয়ে কাজও করছি। আশা করছি বিশ্বকাপের আগে নিজের ভুলগুলো শুধরে নিতে পারব।”