এই ভাবেই বারবার কঙ্গো রক্ষণকে কাটিয়ে এগিয়ে যান সালে। ছবি: এএফপি।
দীর্ঘ ২৭ বছর পর ফের এক বার বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র পেল মিশর। গ্রুপ-ই এর ম্যাচে কঙ্গোকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল এসাম এল হাদারির দল। বিশ্বকাপের মূল পর্বে যাওয়ার জন্য এ দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল মিশর। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই কঙ্গো রক্ষণে আঘাত হানতে থাকেন হাসান আহমেদ-মহম্মদ হিগাজিরা। তবে, একের পর এক আক্রমণ তুলে আনলেও কঙ্গোর জমাট দুর্গে ফাটল ধরাতে ব্যর্থ হয় তারা। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোল শূন্য ভাবে।
আরও পড়ুন: স্যাঞ্চো জিতল, জিতল কলকাতাও
আরও পড়ুন: অদ্ভুত এক রেকর্ড করলেন ওয়াহাব রিয়াজ, দেখুন ভিডিও
প্রথমার্ধে কোনও গোল না করতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোলের মুখ খুলতে বেশি সময় নেয়নি হেক্টর কুপারের ছেলেরা। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে মিশরকে বহু কাঙ্খিত গোলটি এনে দেন লিভারপুলের স্ট্রাইকার মহম্মদ সালে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে গোল পেয়ে যাওয়ায় আশা করা হয়েছিল আক্রমণে তীব্রতা আরও বাড়াবে সালেরা। কিন্তু গোল করে আরও রক্ষণাত্মক হয়ে যান মিশরের কোচ হেক্টর। তবে, আলট্রা ডিফেন্সিভ স্ট্রাটেজি ব্যুমেরাং হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের অন্তিমলগ্নে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে কঙ্গোর হয়ে সমতা ফেরান ফরাসী বংশদ্ভুত ফুটবলার আর্নল্ড বৌকা।
গোল খেয়ে ফের আক্রমণের ঝড় তুলতে থাকে মিশর। দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সুফল পায় সালেরা। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পেনাল্টি বক্সে ফাউল করেন কঙ্গো ডিফেন্ডার। পেনাল্টি পায় মিশর। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি সালে। ২-১ গোল ম্যাচ জিতে নেয় মিশর।