প্রস্তুতি: ইডেনে অনুশীলনে মিহির হিরওয়ানি। নিজস্ব চিত্র
শেন ওয়ার্নের কৌশল এবং বাবা নরেন্দ্র হিরওয়ানির আগ্রাসন। দু’টি জিনিস অনুসরণ করেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজেকে স্থাপন করেছেন নরেন্দ্র হিরওয়ানির পুত্র মিহির। বাবার মতো তিনিও লেগস্পিনার। তাঁর কাছেই ক্রিকেটের হাতেখড়ি মিহিরের। বাবার ভিডিয়ো দেখেই লেগস্পিনার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন মিহির। কিন্তু আইপিএলেই নিজের জীবন শেষ করে দিতে চান না। তাঁর স্বপ্ন, ভারতের হয়ে নিয়মিত টেস্ট খেলা।
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের অনুশীলন শেষে মিহির বলেন, ‘‘বাবা সব সময় একটাই কথা বলেন, দক্ষতায় বিশ্বাস করো। ভারতের হয়ে টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখো। তা হলে আইপিএলের যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তোমাকে এমনিই দলে ডাকবে।’’
মিহির জানিয়েছন, বৈচিত্র নির্ভর বোলার হতে চান না তিনি। বেশি ব্যবহার করতে চান না গুগলিও। ‘অর্থোডক্স’ লেগস্পিনার হয়েই বিপক্ষের ত্রাস হয়ে উঠতে চান। তাই প্রত্যেক দিন অনুশীলন শেষে একা, একা একটি ‘মার্কার’ রেখে নেটে বল করেন। নিজের লাইন ও লেংথ সঠিক করে তোলার জন্য এ ভাবেই অস্ত্রে শান দেন মিহির। তাঁর কথায়, ‘‘গুগলিতে আউট করে সে রকম মজা পাই না। লেগস্পিনে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করার মজাই অন্য রকম। সেটা একজন লেগস্পিনারই বুঝতে পারে। শেন ওয়ার্নকে বেশি বৈচিত্র আনতেই হয়নি। লেগস্পিন দিয়েই বিপক্ষকে শুইয়ে দিত।’’
শেন ওয়ার্ন না নরেন্দ্র হিরওয়ানি! কাকে আদর্শ হিসেবে দেখেন তিনি? মিহিরের উত্তর, ‘‘ওয়ার্নের দক্ষতা এবং বাবার আগ্রাসন। দু’টি মিলিয়েই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে চাই।’’ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ১৬টি ম্যাচ খেলেছেন মিহির। ৪৯ উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দিচ্ছে তাঁর লেগস্পিন কতটা বিষাক্ত। তা আরও ধাড়ালো করে তোলার জন্য শুক্রবার সারা দিন নেটে বল করে গেলেন। শুধু ব্যাট করার পরে একটি রাউন্ড বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজে লেগে পড়লেন তরুণ লেগস্পিনার।
সময় পেলেই এখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বাবার ১৬ উইকেট নেওয়ার ম্যাচটি দেখেন মিহির। যদিও এ বিষয়ে তাঁকে কখনও জো়র করেননি তাঁর বাবা। নিজের ইচ্ছেতেই পুরনো ভিডিয়ো ঘাটেন মিহির। বলেন, ‘‘স্বপ্নের স্পেল। যত দেখি, তত ভাল লাগে।’’
যদিও বাংলার বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স কী হতে চলেছে তা নিয়ে আগাম আলোচনা করতে চান না তরুণ লেগস্পিনার। তবে অধিনায়ক নমন ওঝা জানিয়ে দেন, বাংলার বিরুদ্ধে সেয়ানে, সেয়ানে টক্কর হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশের। ‘‘ইডেনের উইকেটে যথেষ্ঠ ঘাস দেখতে পেয়েছি। আমাদের জন্য সেটা ইতিবাচক দিক। দলে আবেশ খান ও ঈশ্বর পাণ্ডের মতো পেসার রয়েছে। আশা করছি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপহার দিতে পারব,’’ আত্মবিশ্বাসী শোনায় তাঁকে।