হাঁটছেন শুমাখার, বলল ম্যাগাজিন, খবর উড়িয়ে দিলেন ম্যানেজার

হঠাৎই খবর ছড়িয়ে পড়ল হাঁটতে পারছেন শুমাখার। তাঁর ভক্তদের উৎসবে মেতে ওঠার আগেই সব জল্পনা থামিয়ে দিলেন শুমাখারের ব্যাক্তিগত সচিব সাবাইন কেম। জানিয়ে দিলেন ভুল খবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৪:৩০
Share:

হঠাৎই খবর ছড়িয়ে পড়ল হাঁটতে পারছেন শুমাখার। তাঁর ভক্তদের উৎসবে মেতে ওঠার আগেই সব জল্পনা থামিয়ে দিলেন শুমাখারের ব্যাক্তিগত সচিব সাবাইন কেম। জানিয়ে দিলেন ভুল খবর। ‘‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আমাদের জন্য। আমাদের বলতে হচ্ছে মাইকেলকে নিয়ে যে খবর প্রচার হয়েছে সেটা ভুল। সবাই মিথ্যে আশা পেয়েছিল। মাইকেল হাঁটতে পারছে না।’’

Advertisement

গতির রাজার গতি থেমে গিয়েছে দু’বছর আগের এই ডিসেম্বরেই। সেটা ছিল ২৯ ডিসেম্বর। দু’বছর পেরিয়ে এসে কেমন আছেন শুমাখার? বিছানায় শুয়ে থাকা শরীরটা সাড়া দিতে পারে না। প্রকাশ করতে পারেন না নিজের ভাষা। চোখের কোণে জমে থাকে জল। কষ্টের বহিঃপ্রকাশে গড়িয়ে পড়ে গাল বেয়ে। সুইজারল্যান্ডের বরফে স্কি-তে মেতে ছিলেন সেদিন মাইকেল শুমাখার। তার পরটা সবার জানা। দীর্ঘ লড়াই। জীবন-মৃত্যুর টানাটানি। জীবন হয়তো ফিরে পেলেন সাত মাস লড়াইয়ের পর। কিন্তু সত্যি কি এটা বেঁচে থাকা? বিছানার সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। রোগা হতে হতে কঙ্কালসার শরীর হারিয়েছে সব শক্তি। হাঁটানোর চেষ্টা করা হয়েছিল এক সময়। কিন্তু পারেননি। সে নিয়ে নানা জল্পনার কথা বিভিন্ন সময় শোনা গিয়েছে। হারিয়ে গিয়েছে বাক-শক্তিও। কেম বলেন, ‘‘মাইকেল খুব রোগা হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের বিশ্বাস ও আবার হাঁটতে পারবে। চেষ্টাও করা হচ্ছে।’’

আরও খবর পড়ুন: এক পা নিয়েই সাইকেলে পৃথিবী চষছেন আদিত্য

Advertisement

পরিবারের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডে ছুটি কাটাচ্ছিলেন মাইকেল শুমাখার। সঙ্গে ছিল পরিবার। ভেবেছিলেন চেনা ছকের বাইরে একটু অন্য রকমভাবে উপভোগ করবেন। সেটাই কাল হল। স্কি করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে পড়েছিলেন অনেকক্ষণ। থেরাপিস্টের সাহায্যে সম্প্রতি হাঁটানোর চেষ্টা করানো হয়েছিল। দু’পা হেঁটেওছিলেন। কিন্তু ওই টুকুই। আশার আলো দেখতে পাননি চিকিৎসকেরা। ধুলো জমেছে তাঁর শেষ ব্যবহার করা মার্সিডিজের গায়ে। ধুলো জমেছে স্মৃতির পাতায়। আসতে আসতে ভুলে যাচ্ছেন অনেক কিছু। ভুলে যাচ্ছেন এক সময় হাওয়ার সঙ্গে কথা বলত তাঁর হাতে ধরা স্টিয়ারিং। ভয়ঙ্কর গতির সঙ্গে চোখে চোখ মিলিয়ে ছুটে চলত শুমাখারের ফেরারি, মার্সিডিজ। গতিতে মাত দিতেন সবাইকে। সে গতি আর ফিরবে না। বাড়ির শো-কেসে সাজানো ট্রফিগুলিই মনে করাবে শুমাখারের ফেলে আসা ইতিহাস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement