জাতীয় স্তরের টেনিসে সেরা মেখলা

রাজ্য ও জাতীয় স্তরের টেনিস প্রতিযোগিতা মঙ্গলবার শেষ হল শ্রীরামপুরে। শুক্রবার থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল উদ্যোক্তা শ্রীরামপুর মহকুমা টেনিস ক্লাবের ক্লে কোর্টে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১৫
Share:

জয়ী এবং রানার্স। ছবি: প্রকাশ পাল।

রাজ্য ও জাতীয় স্তরের টেনিস প্রতিযোগিতা মঙ্গলবার শেষ হল শ্রীরামপুরে। শুক্রবার থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল উদ্যোক্তা শ্রীরামপুর মহকুমা টেনিস ক্লাবের ক্লে কোর্টে।

Advertisement

টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত চৌধুরী এবং ক্লাব সম্পাদক অলোক সিংহ জানান, এআইটিএ (অল ইন্ডিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশন‌) র‍্যাঙ্কিং প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব ১৬ বালক ও বালিকা বিভাগে খেলা হয়। প্রতিযোগীর সংখ্যা ছিল ৪৮ জন। এদের মধ্যে ৩২ জন বালক ও ১৬ জন বালিকা। পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য থেকে খেলোয়াড়রা এসেছিল। বিটিএ র‍্যাঙ্কিং টুর্নামেন্ট হয় অনূর্ধ্ব ১২ বিভাগে। ছেলেদের বিভাগে ৩২ জন এবং মেয়েদের বিভাগে ১৬ জন যোগ দিয়েছিল। প্রতিটি ফাইনাল মঙ্গলবার হয়। এআইটিএ র‍্যাঙ্কিং প্রতিযোগিতায় মেয়েদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীরামপুরের মেখলা মা‌ন্না। তার কাছে পরাজিত হয় কলকাতার শতভিষা ঘোষ। মেখলার ফল ৬-২, ৭-৫। প্রথম সেটে মোটামুটি সহজে জিতে গেলেও দ্বিতীয় সেটে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায় মেখলা। ম্যাচ গড়ায় দেড় ঘণ্টা। ছেলেদের বিভাগে কলকাতার কানাভ গোয়েল চ্যাম্পিয়ন হয়। ফাইনালে সে ৬-১, ৬-৪ সেটের ব্যবধানে শ্রীরামপুরের শ্রীম সাধুখাঁকে পরাজিত করে। জিততে সওয়া এক ঘণ্টা সময় নেয় কানাভ।

বিটিএ র‌্যাঙ্কিং টুর্নামেন্টে মেয়েদের বিভাগে সেরা হয়েছে কলকাতার ভূমি শেখর। রানার্স চন্দননগরের ঐন্দ্রিলা সেন। ফাইনালে ভূমি ৬-২, ৬-০ সেটে জিতে বাজিমাত করে। ম্যাচ শুরু হয়েছিল বেলা সাড়ে ১১টায়। শেষ হতে দুপুর প্রায় ১টা বেজে যায়। ছেলেদের বিভাগের ফাইনালে শ্রীরামপুরের সোহম ঘোষকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় কলকাতার মহম্মদ রশিদউদ্দিন। রশিদউদ্দিনের খেলার ফল ৬-০, ৭-৫। এক ঘণ্টার মধ্যেই ম্যাচ বের করে নেয় কলকাতার ছেলেটি। সেরা প্রতিশ্রুতিমান খেলোয়াড় হিসেবে বেছে নেওয়া হয় চন্দননগরের আট বছরের কৌস্তভ সেনকে। বেঙ্গল র‍্যাঙ্কিং প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল সে।

Advertisement

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠা‌নে উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক রজত নন্দা, পূর্বতন মহকুমাশাসক মৃণালকান্তি হাল‌দার, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত চৌধুরী, সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় দে প্রমুখ।

ক্লাবের কর্মকর্তারা জানান, নোট বাতিলের জেরে এক সময় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। পরে অবশ্য সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ক্লাবের তিনটি কোর্টেই খেলা হয়েছে। কয়েকটি খেলা ফ্লাডলাইটেও হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement