ছয় বাঁচিয়ে একাই ম্যাচ জিতিয়ে দিলেন ময়ঙ্ক

সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ম্যাচটা জিতিয়ে দিতে পারতেন কর্ণ শর্মাই। শেষ ওভারে নিশ্চিত ওভার বাউন্ডারিটা বাঁচিয়ে তা হতে দিলেন না ময়ঙ্ক অগ্রবাল। শেষ মুহূর্তে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের দ্বিতীয় জয়ের নায়ক হয়ে উঠলেন এক দেশীয় উঠতি ক্রিকেট তারকাই। শ্রেয়াস আয়ারের চল্লিশ বলে ৬০ ও জেপি দুমিনির ৪১ বলে ৫৪-য় ভর করে দিল্লি হায়দরাবাদকে জয়ের জন্য ১৬৮-র টার্গেট দেওয়ার পর ১৯ ওভারে ১৫৮-য় পৌঁছে যায় সানরাইজার্স। ক্রিজে আশিস রেড্ডি ও কর্ণ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:১৫
Share:

সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ম্যাচটা জিতিয়ে দিতে পারতেন কর্ণ শর্মাই। শেষ ওভারে নিশ্চিত ওভার বাউন্ডারিটা বাঁচিয়ে তা হতে দিলেন না ময়ঙ্ক অগ্রবাল। শেষ মুহূর্তে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের দ্বিতীয় জয়ের নায়ক হয়ে উঠলেন এক দেশীয় উঠতি ক্রিকেট তারকাই।

Advertisement

শ্রেয়াস আয়ারের চল্লিশ বলে ৬০ ও জেপি দুমিনির ৪১ বলে ৫৪-য় ভর করে দিল্লি হায়দরাবাদকে জয়ের জন্য ১৬৮-র টার্গেট দেওয়ার পর ১৯ ওভারে ১৫৮-য় পৌঁছে যায় সানরাইজার্স। ক্রিজে আশিস রেড্ডি ও কর্ণ। দ্বিতীয় বলে রেড্ডি রান আউট। পরের দুই বলে এক রান করে নেন কর্ণ ও প্রবীন কুমার। পঞ্চম বলেই ঘটনাটা ঘটল। কোল্টার নাইলের বল সোজা বাউন্ডারির বাইরে ওড়ানোর জন্য ‘স্লাইস’ করেন কর্ণ। বল ধরতে গিয়ে বাউন্ডারির দড়িতে পা ঠেকে যায় ময়ঙ্কের। তবু হাল ছাড়েননি। লাফিয়ে উড়ন্ত বলটাকে থাপ্পড় মেরে মাঠের মধ্যে ফেলে দিয়ে তার পর বাউন্ডারির দড়ির উপর ল্যান্ড করেন। দুইয়ের বেশি রান নিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। ওভার বাউন্ডারি হলে সেই বলেই জিতে যেতেন কর্ণরা। শেষ বলে পাঁচ রান দরকার ছিল। ফের ছয় মারার মরিয়া চেষ্টা কর্ণের। কিন্তু এ বার লং অফে তিনি ধরা পড়ে গেলেন। রবিবার নাইটদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নামার আগে প্রয়োজনীয় আত্মবিশ্বাসটুকু পেয়ে গেলেন দুমিনিরা।

সবিস্তার দেখতে ক্লিক করুন

Advertisement

জেপি দুমিনির পারফরম্যান্স এ দিন একেবারে অধিনায়কোচিত। ব্যাট হাতে যেমন ৫৪, তেমনই বল নিয়েও ৪-১৭। ফেরান বিপক্ষের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ওয়ার্নার, ধবন, বোপারাকে। ইওইন মর্গ্যানও তাঁর শিকার। ম্যাচের সেরা তিনিই। খেলার শেষে বললেন, ‘‘অবিশ্বাস্য জয়। গেমপ্ল্যান অনুযায়ীই খেলতে পারাটাই আসল ব্যাপার। আসলে ১৬০-এর উপর যেতে পারাটাই এখানে বোনাস।’’ শেষ বলে দিল্লির বেশির ভাগ ম্যাচের ফয়সালা হওয়া নিয়ে দুমিনি বলেন, ‘‘ছেলেদের সবসময়ই বলি, প্রতিটা বলে মনঃসংযোগ করো। কোন বলে কী হয় কিছুই বলা যায় না। এটাই টি টোয়েন্টি ক্রিকেট। আজ রাতটা সেলিব্রেট করব। পরশু ফের মাঠে নামতে হবে আমাদের।’’ গত ম্যাচে ব্যাটে বিস্ফোরণ ঘটানোর পর ফের রান খরা যুবরাজের ব্যাটে। এ দিন ১৩ বলে ন’রান করে আউট হয়ে যান তিনি। অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে তাঁকে ফেরান ওয়ার্নার। মনোজ তিওয়ারিকে এ দিনও ব্যাট করতে নামতে হল না। এই নিয়ে তিনটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েও দুটো ম্যাচে নামাই হল না তাঁর। গত ম্যাচে কোনও রান না করেই অপরাজিত থেকে যান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ১৬৭-৪ (আয়ার ৬০, দুমিনি ৫৪, ভুবনেশ্বর কুমার ১-২১)।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ১৬৩-৮ ( বোপারা ৪১, ওয়ার্নার ২৮, দুমিনি ৪-১৭)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement