সেরা: ট্রফি নিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারস্টাপেন। ছবি রয়টার্স।
অপূর্ণই থেকে গেল লুইস হ্যামিল্টনের অষ্টমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন। মরসুমের শেষ ফর্মুলা ওয়ান রেসিং প্রতিযোগিতা, আবু ধাবি গ্রঁ পি জিতে এই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হলেন রেড বুলের চালক মার্ক ভারস্টাপেন। চরম নাটকীয়তায় ভরপুর এই রেসিংয়ে শেষ ল্যাপে মার্সিডিজ়ের চালককে পিছনে ফেলে দেন ভারস্টাপেন। পুরো মরসুম জুড়ে চলতে থাকা গতির গ্রহের দুই তারকার শ্রেষ্ঠত্বের দ্বৈরথেরও নিষ্পত্তি হয়ে যায়। ভারস্টাপেন শেষ ল্যাপ শেষ করেন ১ মিনিট ২৬.১০৩ সেকেন্ডে। হ্যামিল্টন সময় নেন ১ মিনিট ২৬.৬১৫ সেকেন্ড। তৃতীয় হয়েছেন ফেরারির চালক কার্লোস সেইনজ় জুনিয়র।
ডাচ চালকের অকল্পনীয় জয়ের পরে গণমাধ্যমে অভিনন্দনের প্লাবন শুরু হয়। রোহিত শর্মা থেকে রবিন ফান পার্সি, মাইকেল আওয়েন থেকে গ্যারি লিনেকার-প্রত্যেকেই বিস্মিত ২৪ বছরের চালকের দুঃসাহসিক অভিযান দেখে। রোহিত শর্মা গণমাধ্যমে লিখেছেন, “এক বলে ছয় রান দরকার। এই মুহূর্তে কী হতে পারে। জেনে রাখুন, নিশ্চিত ভাবে ভারস্টাপেন বলে হিট করবে। অকল্পনীয় জয়।” প্রাক্তন ডাচ ফুটবলার রবিন ফান পার্সির প্রতিক্রিয়া, “ফর্মুলা ওয়ান মরসুমটা যে কী অবিশ্বাস্য ভাবে শেষ করলে তা বলে বোঝাতে পারব না। এক প্রকৃত চ্যাম্পিয়নকে আসনচ্যুত করে আর এক প্রকৃত চ্যাম্পিয়নের উদয় হল।”
রুদ্ধশ্বাস রেসিংয়ের শেষ ল্যাপে নতুন চাকা লাগিয়ে লড়াই শুরু করেন ভারস্টাপেন। মার্সিডিজ় তারকা হ্যামিল্টন তখনও তাঁর চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে স্বপ্নের উড়ান দিলেন রুদ খুলিটের দেশের চালক। চোখের নিমেষে পাল্টে গেল ছবিটা। যে প্রসঙ্গে ভারস্টাপেন বলেছেন, “এখনও যেন বিশ্বাস করতে পারছি না। তবে গোটা বছর জুড়ে শুধুমাত্র এই মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য লড়াই করে গিয়েছি। তবে এই সাফল্যের সমান অংশীদার আমার দলের সমস্ত সহকর্মীরা, যাঁরা আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন।” যোগ করেছেন, “শেষ ল্যাপের সময় নিজের প্রতি বিশ্বাস ছিল, এই জায়গা থেকেও সেরা হতে পারি। এই দিনটা ভুলতে পারব না।”
ডাচ চালককে অভিনন্দন জানিয়েছেন হ্যামিল্টনও। তিনি বলেছেন, “ম্যাক্স এবং ওর দলকে অনেক অভিনন্দন। সারা বছর জুড়েই আমরা অসাধারণ লড়াই করেছি। কথা দিচ্ছি, আগামী বছর আমি চেনা ছন্দে ফিরে আসব।”