অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন মাথীশা পাথিরানা।
শ্রীলঙ্কার ফাস্ট বোলার মাথীশা পাথিরানাকে নিয়ে ক্রিকেটমহল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে রবিবার ভারতের বিরুদ্ধে ঘন্টায় ১৭৫ কিলোমিটার বেগে বল করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তিনি।
দ্বীপরাষ্ট্রের এই বোলারকে বল করতে দেখলে সবারই লাসিথ মালিঙ্গার কথা মনে পড়বে। মালিঙ্গার মতোই বোলিং স্টাইল তাঁর। তেমনই মারাত্মক গতি। অনেকেই তাঁকে ‘নতুন মালিঙ্গা’ বলছেন।
ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের চতুর্থ ওভারে মাথীশার হাত থেকে ছিটকে বেরোয় সেই আগুনে ডেলিভারি। ভারতের ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সওয়াল তখন ব্যাট করছিলেন। বলটি পিচে পড়ে লেগ স্টাম্পের অনেকটাই বাইরে দিয়ে চলে যায়। স্পিড গানে দেখা যায় ডেলিভারিটির গতি ঘন্টায় ১৭৫ কিলোমিটার বা প্রতি ঘন্টায় ১০৮ মাইল। এর পরেই ক্রিকেটমহলে জোর আলোচনা। অনেকেরই প্রশ্ন, অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলা এই বোলার কি তবে গতিতে ছাপিয়ে গেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন বোলার শোয়েব আখতারকেও? অনেকে আবার প্রশ্ন তুলেছেন, স্পিড গানে বলের গতিবেগ ঠিক দেখাচ্ছে তো?
আরও পড়ুন: তিনশোর পর কি দরজা খুলবে মনোজের সামনে? নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না জাতীয় নির্বাচক দেবাং
যদিও পাথিরানার বলের গতি নিয়ে আইসিসি কোনও শব্দ খরচ করেনি। দ্রুততম বোলার হিসেবে তাঁর নাম বিবেচনা করা হবে কি না সে ব্যাপারেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা কিছু বলেনি। মাথীশার ডেলিভারিটি ওয়াইড। ওয়াইড বল আবার বৈধ নয়। কিন্তু গতির নিরিখে বিচার করলে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপার কিন্তু ছাপিয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন পাক বোলারকেও।
২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ‘রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস’ ঘন্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার বেগে বল করে রেকর্ড গড়েছিলেন। শন টেট ও ব্রেট লি প্রাক্তন পাক পেসারের কাছাকাছি গতিতে বল করেছিলেন। দুই অজি বোলারের বলের গতি ছিল ঘন্টায় ১৬১.১ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: মনোজের ট্রিপল সেঞ্চুরি, জাতীয় নির্বাচকদের উপেক্ষার জবাব দিলেন ব্যাটে