সমর্থন: বলবয়দের সম্মান দেখানোর আর্জি ফেডেরারের। ফাইল চিত্র
ফের্নান্দো ভার্দাস্কোর ম্যাচ চলাকালীন এক বলবয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার ঘটনায় তোলপাড় টেনিস বিশ্বে। সেই বলবয়ের দোষ ছিল, ঘাম মোছার জন্য ভার্দাস্কোকে দ্রুত টাওয়েল এগিয়ে দিতে পারেনি সে। কিন্তু তার জন্য স্পেনের টেনিস তারকার ব্যবহার প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে। এমনকি দাবি উঠেছে নতুন নিয়ম চালু করারও।
ঘটনাটি গত মাসে চিনের শেনজেন ওপেনের। ৩৪ বছর বয়সি ভার্দাস্কো অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রাক্তন ব্রিটিশ ফেড কাপ ক্যাপ্টেন এবং অ্যান্ডি মারের মা জুডি তো টুইটে দাবি তুলেছেন, ‘‘খেলোয়াড়রা নিজেদের টাওয়েল নিজেরাই নেবে, এমন একটা আইন আনলে কেমন হয়?’’ অনেকে আবার এই ব্যাপারে ভার্দাস্কোর সমালোচনা করার পাশাপাশি এটাও বলছেন, এর আগেও এমন হয়েছে।
গত সপ্তাহে চিন ওপেনে বেলারুশের আরিয়ানা সাবালেঙ্কার দিকেও আঙুল তুলছেন অনেকে। একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, সাবালেঙ্কা একটি খালি বোতল বলবয়ের দিকে তুলে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে দ্রুত জল আনার নির্দেশ দিয়ে বোতল মাটিতেই ফেলে দেন।
রজার ফেডেরার যিনি নিজেও কিশোর বয়সে বলবয়ের দায়িত্ব সামলেছেন, এই ঘটনায় টেনিস খেলোয়াড়দের আরও সম্মান দেখানোর আর্জি জানান। সুইস মহাতারকার মতে পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শনের ব্যাপারে অনেক খেলাতেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয় টেনিসকে। সেই সম্মান দেখানোয় কিন্তু বলবয় বা বল গার্লরাও পড়ে। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এটা ঠিক অনেক সময় পয়েন্টের মাঝে মেজাজ ঠিক রাখা যায় না। তা বলে এটাও মাথায় রাখতে হবে বলবয়রা টেনিসের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ওরাই হয়তো টেনিসের ভবিষ্যত।’’
তবে অনেকে চাঁচাছোলা ভাষাতেও সমালোচনা করেছেন ভার্দাস্কোর। ব্রিটিশ ফেড কাপ ক্যাপ্টেন অ্যান কেওথাভঙের টুইট, ‘‘তুমি যত বড় টেনিস খেলোয়াড় হও না কেন, এই ধরনের ব্যবহার বন্ধ হওয়া উচিত।’’
তবে অনেকেই আবার মেনে নিচ্ছেন প্রবল চাপে থাকায় অনেক সময়ই এক জন খেলোয়াড়ের পক্ষে সব দিক সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। ২০১৫ সালে যেমন নোভাক জোকোভিচ উইম্বলডনে এক বলগার্লের কাছে ক্ষমা চান, তার দিকে তাকিয়ে চেঁচানোর জন্য।
কেন খেলোয়াড়রা নিজের টাওয়েল নিজেই নেবেন না সে ব্যাপারে ফেডেরারের বক্তব্য, চাপে পড়ে যাওয়ায় অনেক সময়েই এক জন খেলোয়াড় নিজে নেওয়ার থেকে যদি বলবয় বা বলগার্ল তাঁর দিকে টাওয়েল এগিয়ে দেয় তাতে সময় বাঁচে। কিন্তু ভার্দাস্কোর ঘটনার পরে সবাই তাতে একমত নন।