অস্বস্তি: প্রথম চারের লক্ষ্য কঠিন হচ্ছে সোলসারের। গেটি ইমেজেস
সাত ম্যাচে চাই ১৫ পয়েন্ট। তাঁর লক্ষ্য কী, পল পোগবাদের পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন ওয়ে গুন্নার সোলসার। কিন্তু উলভারহ্যাম্পটনের মলিনোয় মঙ্গলবারই আচমকা ধাক্কা খেল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।
উলভস তাদের হারিয়ে দিল ২-১ গোলে। তাতে রেড ডেভিলসের ক্ষিপ্ত ম্যানেজার তাঁর ফুটবলারদের বলে দিলেন, নতুন কোনও ভুল করা মানে, যাবতীয় আশা শেষ। সোলসারের প্রত্যাশা, প্রিমিয়ার লিগ প্রথম চারে শেষ করা। যে কারণে চেয়েছিলেন, সাত ম্যাচে ১৫। কিন্তু এই হারে অঙ্কটা দাঁড়াল, ছয় ম্যাচে পনেরোর।
মলিনোয় পয়েন্ট নষ্টের দায় নিতে হচ্ছে সোলসারের ফুটবলারদেরই। অকারণে বাড়াবাড়ি করে লাল কার্ড দেখেছেন অ্যাশলে ইয়ং। আর হাস্যকর ভাবে আত্মঘাতী গোল করেছেন ক্রিস স্মলিং। সোলসার যে লক্ষ্যই সামনে রাখুন, তিনি নিজেও জানেন তাঁদের কাজটা কত কঠিন। ম্যান ইউকে খেলতে হবে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ও চেলসির মতো ক্লাবের বিরুদ্ধেও। ‘‘উলভস ম্যাচের তিন ঘণ্টা আগে বলেছিলাম সাত ম্যাচে পনেরো পয়েন্ট চাই। এখন সেটা দাঁড়াল ছয় ম্যাচে। কঠিন, খুব কঠিন কাজটা। তবু আমি তো জানি আমার দল কেমন। আজকের ম্যাচ দিয়ে বিচার করলে চলবে না। অন্যরাও সহজে আমাদের বিরুদ্ধে জিতবে না,’’ বললেন সোলসার।
ম্যান ইউয়ে জোসে মরিনহোর উত্তরসূরি মনে করছেন, উলভসের বিরুদ্ধে জেতার মতো খেলেও হেরেছে তাঁর দল। ১৩ মিনিটে স্কট ম্যাকটিমনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিলেন সোলসারের ফুটবলারেরা। ২৫ মিনিটে উলভসের দিয়োগো জোটা ১-১ করেন। কিন্তু সব হিসাব গুলিয়ে যায় স্মলিংয়ের ৭৭ মিনিটের আত্মঘাতী গোলে। স্মলিংয়ের থেকেও সোলসারের বিরক্তি বেশি ইয়ংয়ের ব্যাপারে। যে ভাবে তিনি পাঁচ মিনিটের মধ্যে দু’বার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তাকে মেনে নিতে পারেননি তিনি। বলেছেন, ‘‘এক বার হলুদ কার্ড দেখা মানে আবার কার্ড দেখার বিপদ থেকে যায়। অ্যাশলে খুব বাজে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে মাথা গরম করে দ্বিতীয় কার্ডটা দেখল। এটা মানা যায় না।’’
উলভসের কাছে হারায় ম্যান ইউ পড়ে থাকল সেই ৬১ পয়েন্টেই। তারা এখন পাঁচ নম্বরে। গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকায় চারে এখন টটেনহ্যাম। পরের বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সরাসরি খেলতে হলে প্রথম চারে লিগ শেষ করতে হবে পোগবাদের। এ হেন জটিল পরিস্থিতিতে পড়া সোলসার নিজের হতাশা ব্যক্ত করে বলে গেলেন, ‘‘কী আর বলব। আমরা নিজেরাই নিজেদের পতন ডেকে এনেছি। তবে এর পরে এ রকম ভুল হলে কিন্তু বাঁচার রাস্তা থাকবে না।’’