প্রতিযোগিতায় বোরখা পরে এসেছিলেন স্ট্যানলি। ছবি: টুইটার
শেষ চেষ্টা করে দেখেছিলেন স্ট্যানলি ওমন্ডি। ছেলে হয়েও মেয়েদের খেলায় নামার জন্য নাম পাল্টে নেন। কেনিয়ার মেয়েদের জন্য দাবা প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যে কেউ নাম দিতে পারতেন। তেমনই একটি প্রতিযোগিতায় বোরখা পরে এসেছিলেন স্ট্যানলি।
স্ট্যানলি এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন মিলিসেন্ট আওয়ার নামে। যদিও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যান তিনি। এত ভাল খেলতে শুরু করেন যে, তাঁকে নিয়ে সন্দেহ শুরু হয়। তাতেই ধরা পড়েন তিনি। পরে ক্ষমাও চেয়ে নেন স্ট্যানলি। তিনি জানিয়েছেন, আর্থিক কারণেই এই প্রতিযোগিতায় নাম দিয়েছেন। সেই সঙ্গে যে কোনও শাস্তি মেনে নিতেও তৈরি স্ট্যানলি।
কেনিয়ার দাবা সংস্থার প্রধান বার্নার্ড ওয়ানজালা বলেন, “স্ট্যানলিকে দাবা থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে না। কিছু বছরের জন্য করা হতে পারে। উনি হিজাব পরেছিলেন। সেই কারণে প্রথমে বোঝা যায়নি। আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। কিন্তু কিছু ক্ষণ পর দেখা যায় যে, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শক্তিশালী খেলোয়াড়দের হারিয়ে দিচ্ছেন উনি। কোনও নতুন কারও পক্ষে এটা করা মুশকিল।”
স্ট্যানলির জুতো দেখে অনেকের সন্দেহ হয়। সেই সঙ্গে স্ট্যানলি অনেক ক্ষণ কথা বলছিলেন না। তাতেও সন্দেহ হয় অনেকের। ছেলেদের মতো জুতো পরেছিলেন তিনি। ওয়ানজালা বলেন, “অংশগ্রহণকারী হিসাবে কার্ড নিতে গিয়ে অদ্ভুত ভাবে কথা বলেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে কোনও কথা বলছিলেন না। দাবা বন্ধুত্বের প্রতীক। এটা কোনও যুদ্ধ নয়। সেখানে কথা না বলাটা বেশ অস্বাভাবিক।”
স্ট্যানলির মতো ঘটনা সে দেশে প্রথম বার হয়েছে বলে জানিয়েছে কেনিয়ার দাবা সংস্থা। নাইরোবিতে ঘটনাটি ঘটে। ২২টি দেশ অংশ নিয়েছিল এই প্রতিযোগিতায়। মোট ৪০০ জন প্রতিযোগী ছিলেন। এঁদের মধ্যে ৯৯ জন মহিলা বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন। স্ট্যানলির শাস্তি কী হবে সেটা এখনও জানায়নি কেনিয়ার দাবা সংস্থা।