সরেজমিনে নজরদারি করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।
মালদহের খেলাধুলোর পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হচ্ছে। পুরো খলনলচেই বদলে ফেলা হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দু’কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে রয়েছে সুইমিং পুল, স্টেডিয়াম এবং ইনডোর স্টেডিয়াম। তিনটিকেই আধুনিক রূপে সাজানো হবে। পাশে আরেকটি ফাঁকা মাঠে তৈরি হবে ৪০০ মিটারের ট্র্যাক। সবই সরেজমিনে নজরদারি করছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।
কৃষ্ণেন্দুবাবু জানিয়েছেন, জেলা
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানানোর পর প্রস্তাব ও পরিকল্পনা দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা অনুমোদন করেন। এরপরই শুরু হয়েছে কর্মযজ্ঞ।
কৃষ্ণেন্দু বলেন, ‘‘ক্রীড়া সংস্থার মাঠের জমি দখল হয়ে গিয়েছিল। অনেক চেষ্টা করে তা দখলমুক্ত করা হয়েছে। সেই মাঠেই তৈরি হবে ৪০০ মিটারের ট্র্যাক। এছাড়াও এই মাঠটিকে ঢেলে সেজে তৈরি করা হবে স্টেডিয়াম। প্রতি বছর বন্যার সময় নদী সংলগ্ন এলাকার বহু মানুষ এসে আশ্রয় নেন এই মাঠে। তাদের জন্য মাঠের এক প্রান্তে তৈরি হবে ‘রেসকিউ সেন্টার’।
তবে এই উদ্যোগ নিয়ে বিরোধীরা সমালোচনা করছেন। জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে শাসকদলের প্রতিনিধিরা রয়েছেন। খেলার মান উন্নয়ন করার জন্য সরকারি কোষাগার থেকে অর্থও মঞ্জুর করা হয়। তবে সেই টাকা দিয়ে কী হয়, কেউ জানতে পারেন না। শাসকদল সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি ও আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, সাম্প্রতিককালে এই এলাকায় জমি হারানোর কারণেই লোক দেখানো এমন কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। বাস্তবে সবই লুঠপাট হবে। তবে খেলাধুলোর উন্নতি হবে এই ভেবে এলাকার ক্রীড়াপ্রেমীরা খুশি।