বার্তা: লড়াইয়ে শ্বেতাঙ্গদেরও পাশে চান এনতিনি-ফিল্যান্ডাররা। ফাইল চিত্র
দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে বর্ণবৈষম্যের ছবিটা ফের প্রকট হয়ে পড়ল। মঙ্গলবার ৩০জন প্রাক্তন কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার একটি বিবৃতিতে জানিয়ে দিলেন, সাদা-কালোর বিভেদ এখনও রয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে।
গত সপ্তাহেই ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডকে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ফাস্ট বোলার লুনগি এনগিডি। যা নিয়ে পরে তাঁকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল। তার পরেই এ দিন প্রকাশ করা হয়েছে একটি বিবৃতি। যেখানে স্বাক্ষর করেছেন দেশের হয়ে ১০১ টেস্টে খেলা প্রাক্তন ফাস্ট বোলার মাখায়া এনতিনি। তিনি ছাড়াও ভার্নান ফিল্যান্ডার, হার্সেল গিবস, অ্যাশওয়েল প্রিন্স, পল অ্যাডামস এবং জঁ পল ডুমিনির মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা সই করেছেন। রয়েছেন পাঁচ জন কোচও। তবে এই তালিকায় নেই কাগিসো রাবাডা না এনগিডির নাম।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্রিকেট সম্প্রীতি এবং ঐক্য নিয়ে তিন দশক ধরে কথা বলা হলেও বাস্তবের ছবিটা পাল্টায়নি। ‘একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে,আমাদের জীবনের সঙ্গে বর্ণবৈষম্য এখনও অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। আমরা মনে করি দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে একটা বড় সুযোগ এসেছে যেখানে তারা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এটা জানাক যে, কী ধরনের সমস্যার মধ্যে এখনও পড়তে হচ্ছে। আমরা একই সঙ্গে শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটারদেরও আমন্ত্রণ জানাচ্ছি মনুষ্যত্বকে রক্ষা করতে এই ধরনের অভিযানে সঙ্গী হতে,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।
এই বিবৃতি নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ড কোনও মন্তব্য করেনি। তবে এই বিষয় নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে প্যাট সিমকক্স, বোয়েতা ডিপেনার, রুডি স্টেন, ব্রায়ান ম্যাকমিলানের মতো প্রাক্তনেরা যে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন এনতিনি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ওদের এহেন মন্তব্যে আমরা আদৌ বিস্মিত নই। এই দেশের অতীত ইতিহাস বলছে, কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারেরা বরাবর সুক্ষ্ম এবং উগ্র বর্ণবৈষম্য আচরণের শিকার হয়েছে এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে তা উড়ে এসেছে সতীর্থদের পক্ষ থেকেও।’
ঘটনা হল, এদিনই দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটার্স সংস্থার প্রেসিডেন্ট ওম্ফিলে রামেলা একটি চিঠি দিয়েছেন দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী নাথি মেথেওয়াকে। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড অবৈধ ভাবে আটজন শ্বেতাঙ্গকে মনোনীত করেছে প্রশাসনিক কাজে। তিনি এই বিষয়ে সকরারি হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, “গত ছ’মাসে বোর্ডের এগজিকিউটিভ পর্যায়ে আটজন শ্বেতাঙ্গকে মনোনীত করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার যে আইন রয়েছে, তাকে লঙ্ঘন করা হয়েছে এই নিয়োগের মাধ্যমে।” নাম না করলেও তিনি আসলে নতুন কোচ মার্ক বাউচার এবং নতুন ক্রিকেট ডিরেক্টর গ্রেম স্মিথের নিয়োগ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।