যুগলবন্দি: নয়াদিল্লিতে দেখা হয়ে গেল ধোনির সঙ্গে। ছবি টুইট করলেন মাইকেল ক্লার্ক।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ফিটনেস মন্ত্রেই ভবিষ্যতের ‘মাহি’ গড়ে তোলার স্বপ্ন কেশব বন্দ্যোপাধ্যায়ের!
ভারতীয় ক্রিকেট দলের ফিটনেস ট্রেনার ধোনির জন্য যে অনুশীলনের রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছেন, সেটাই তিনি তুলে দিয়েছেন শৈশবের কোচের হাতে। রাঁচীর ডিএভি জওহর বিদ্যা মন্দিরের ছাত্ররা এখন ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কের অনুশীলন পদ্ধতিই অনুসরণ করছে।
সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় অ্যাকাডেমি আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সাংবাদিক বৈঠকে অতিথি হিসেবে সোমবার কলকাতায় এসেছিলেন ধোনির শৈশবের কোচ। সেখানেই আনন্দবাজারকে তিনি শোনালেন এই কাহিনি। বললেন, ‘‘টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর আগের মতো খেলার চাপ হয়তো নেই ধোনির। কিন্তু ওয়ান ডে-এর জন্য সারা বছর ফিটনেস ধরে রাখাটা অত্যন্ত জরুরি। তাই কী ভাবে ট্রেনিং করতে হবে সেই চার্ট মুম্বই গিয়ে জাতীয় দলের ট্রেনারের কাছ থেকে বানিয়ে এনেছে। তারই ফটোকপি করে আমাকে দিয়েছে স্কুলের বাচ্চাদের অনুশীলন করানোর জন্য। বলেছে, ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ট্রেনিং করলেই দীর্ঘ দিন খেলতে পারবে ওরা।’’
কী রয়েছে ধোনির অনুশীলন তালিকায়? কেশব বললেন, ‘‘পুরো ব্যাপারটাই ছবি এঁকে সহজ ভাবে বোঝানো রয়েছে। জিমে কত ওজন নিয়ে কী ধরনের অনুশীলন করতে হবে। কতক্ষণ ট্রেডমিলে দৌড়নো দরকার। যখন ম্যাচ থাকবে না, তখন কোমরের নমনীয়তা বাড়ানোর জন্য কী ধরনের ট্রেনিং করতে হবে। কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত ম্যাচের আগে এবং পরে— সমস্ত কিছু।’’
আরও পড়ুন: কোহালিদের সঙ্গে বেতন বাড়তে পারে কোচেদেরও
পঁয়ত্রিশেও ধোনির অসাধারণ ফিটনেসের রহস্যটা কী? কেশব বললেন, ‘‘রাঁচীতে জন্মালেও ধোনিরা আসলে উত্তরাখণ্ডের। যে কারণে ওর ফিটনেস বরাবরই ভাল। ধোনিকে কখনও আলাদা করে ফিটনেস ট্রেনিং করাতে হয়নি। তবে তিরিশ পেরিয়ে যাওয়ার ওর রিফ্লেক্স একটু কমেছে। তার জন্যই পরিশ্রমের মাত্রা বাড়িয়েছে।’’ কী রকম? ‘‘সকালে ঘণ্টা দেড়েক জিম করছে পেশির শক্তি বাড়ানোর জন্য। মনঃসংযোগ বাড়াতে দুপুরে নিজেকে ব্যস্ত রাখছে বিলিয়ার্ডসে। আর রাঁচীতে থাকলেই সন্ধে সাতটার পর আমাদের স্কুলে চলে আসছে ব্যাডমিন্টন খেলতে। এখনও ওর মধ্যে একই রকম সাফল্যের খিদে রয়েছে’’, বলছেন মাহির শৈশবের কোচ। সঙ্গে শোনালেন মাহির কিশোর বয়সের একটা অজানা কাহিনি। বললেন, ‘‘আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্টে একটা ম্যাচ খুব বাজে ভাবে হেরেছিলাম আমরা। শাস্তি হিসেবে ধোনিদের কাউকে টিম বাসে উঠতে দিইনি। ওরা সাড়ে তিন কিলোমিটার হেঁটে ফিরেছিল স্কুলে। জবাবটা ও দিয়েছিল পরের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করে। ধোনি এ রকমই।’’
সিনেমার পর্দার বাইরেও ধোনির অজানা কাহিনি কম নয়!