ট্রফি নিয়ে কার্লসেন। ছবি: এপি।
বুধবারই ছিল তাঁর ছাব্বিশতম জন্মদিন। যা পালন করলেন ম্যাগনাস কার্লসেন বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার হ্যাটট্রিক করে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দাবার খেতাবি লড়াইয়ে হারিয়েছিলেন বিশ্বনাথন আনন্দকে। গত বছর ফিডে বিশ্ব র্যাপিড খেতাব জেতার পরে এ বছর ফের বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হলেন রাশিয়ার সের্গেই কারইয়াকিনকে হারিয়ে।
তবে নরওয়ের কার্লসেনের এ বারের লড়াই গড়ায় টাইব্রেকার পর্যন্ত। বারো গেমের পরেও দুই তরুণ বিস্ময় দাবাড়ু সমান পয়েন্টে থাকায়। দু’জনেরই বয়স ছাব্বিশ। দাবার খেতাবি যুদ্ধের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মিলিত বয়স (৫২) এত কমের পূর্ব নজির ইতিহাসে নেই। একজনের দখলে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার রেকর্ড— কারইয়াকিন ১২ বছর ৭ মাস। অন্য জন সেই তালিকার তিন নম্বরে— কার্লসেন ১৩ বছর ১৪৮ দিন। কিন্তু তার পরে কারইয়াকিনকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছেন কার্লসেন।
জানলা দিয়ে ব্রুকলিন ব্রিজ দেখা যায় নিউইয়র্ক সিটি বিল্ডিংয়ের এমন একটা হলরুমে বুধবার সন্ধেয় (ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল) কার্লসেন র্যাপিড দাবায় কারইয়াকিনকে দ্রুত ও আক্রমণাত্মক চালে মাত করেন। যেখানে দু’জনের প্রথম বারো গেমের দশটা ড্র ছিল। প্রায় তিন সপ্তাহের লড়াইয়ে দু’জনে একে অন্যকে হারাতে পেরেছিলেন মাত্র এক বার করে। তবে র্যাপিড দাবায় কার্লসেনের বিশ্ব র্যাঙ্কিং ১। যিনি তৃতীয় বার বিশ্বের এক নম্বর দাবাড়ু হওয়ার সময় ম্যানহাটনের সন্ধেয় বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু তাতেও নরওয়ে, আমেরিকা এমনকী রাশিয়া থেকেও আসা কার্লসেন-সমর্থকদের পথে নেমে হুল্লোড় আটকানো যায়নি। তার আগে ১০০ ডলার এন্ট্রি ফি দিয়ে হাতে স্ন্যাকস আর বিয়ারের বোতল নিয়ে ম্যাচ-ভেনুর বিশেষ জায়গায় বিশাল টিভি স্ক্রিনে টাইব্রেকারের টেনশন উপভোগ করেন দর্শকেরা।