আইএসএল থ্রি-তে নতুন কোচ আসছেন আটলেটিকো দে কলকাতায়।
গত বৃহস্পতিবার মাদ্রিদে আটলেটিকোর সদর দফতর থেকে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের বদলি হিসাবে পাঠানো হয়েছে নতুন পাঁচ কোচের নাম। যাঁদের মধ্যে তিন জন স্প্যানিশ। বাকি দু’জন ইউরোপের অন্য নামী ফুটবল খেলিয়ে দেশের। তবে এঁরা সবাই হাবাসের মতোই আটলেটিকো মাদ্রিদের কোনও না কোনও বিভাগের ফুটবল টিমের সঙ্গে যুক্ত। মাদ্রিদের তরফ থেকে কলকাতার কর্তাদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, পাঁচ জনের বায়োডেটা দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে অথবা মার্চের গোড়ায় মাদ্রিদ থেকে আটলেটিকোর প্রধান কর্তারা আসছেন কলকাতায়। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পরই হাবাসের বদলি হিসাবে নতুন কোচের নাম জানানো হবে কলকাতার পক্ষ থেকে। কলকাতার এক প্রভাবশালী কর্তা শনিবার বললেন, ‘‘হাবাসের বদলি হিসাবে পাঁচ-ছয় জন কোচের নাম পাঠানো হয়েছে মাদ্রিদ থেকে। টিম মালিকরা সেটা থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।’’ হাবাস কলকাতা ছাড়বেন সেটা জানা সত্ত্বেও তাঁর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন মাদ্রিদের কর্তারা। কিন্তু কোনও সমাধান-সূত্র মেলেনি। কলকাতার টিম ম্যানেজমেন্ট যে টাকা (গতবারের তুলনায় পনেরো শতাংশ বেশি) এবং সুযোগ-সুবিধা বরাদ্দ করেছিলেন তা মানতে নারাজ গত দু’বারের কোচ। কলকাতার বদলে তিনি পুণেতে যেতে চান এবং সেখানে প্রায় আড়াইগুণ বেশি টাকা পাচ্ছেন, হাবাস সেটা টিম-কর্তাদের জানানোর পরই আলোচনা ভেস্তে যায়। শুরু হয় নতুন কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়া। আইএসএল-টুতে কোচিং করে হাবাস এখন আটলেটিকো মাদ্রিদের জুনিয়র টিমের কোচের দায়িত্বে রয়েছেন। চুক্তি রয়েছে জুন পর্যন্ত। হাবাস কলকাতা ছেড়ে পুণেতে সই করলে সেই চাকরিও চলে যাবে। সেটা জানা সত্ত্বেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় হিউম-দ্যুতিদের কোচ। তবে মাদ্রিদ কর্তারা বিরক্ত অন্য আরও একটি কারণে। তা হল, ইউরোপের কোচেরা যেমন দল বদলালে সঙ্গে বেশ কিছু ফুটবলারকে সঙ্গে নিয়ে দল ছাড়েন, সেই চেষ্টাই শুরু করেছেন হাবাস। নাতো, আরাতা-সহ বেশ কয়েক জন ফুটবলারকে ফোন করে পুণেতে খেলার জন্য বলেছেন কলকাতার প্রাক্তন হতে চলা কোচ।
হাবাস কলকাতা থেকে চলে গেলেও গতবারের টিমের দশ ফুটবলারকে রেখে দিচ্ছে কলকাতা। হাবাস যাতে নিয়ে যেতে না পারেন সে জন্য ইতিমধ্যেই ইয়ান হিউম, সমীঘ দ্যুতি, নাতো এবং তিরির সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে কলকাতার টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে জোসেমি, ভালডো, জাভি লারাকে নেওয়া হচ্ছে না। গাভিলানের সঙ্গেও আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে। বোরহার সঙ্গেও আলোচনা চলছে। যদি তিনি গতবারের তুলনায় কম টাকায় রাজি হন, তা হলেই তাঁকে নেওয়া হবে। স্বদেশিদের মধ্যে গোলকিপার অমরিন্দর, রফিক, জুয়েলকে রাখা হবে। তবে অর্ণব বা অগাস্টিন এখনও অনিশ্চিত। আর আরাতা ইজুমি চলে যাবেন হাবাসের সঙ্গে, এটা ধরে নিয়েছেন কলকাতার কর্তারা। নতুন কোচ আসার পর তাঁর সঙ্গে কথা বলে মার্কি ও বাকি ফুটবলার বাছা হবে।