বাড়িতে বকুনি না খেতে হয়, বিনুনি করে ভয় লোকেশের

গিয়েছিলেন এক চেহারায়। ফিরলেন অন্য রূপে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে ফিরে লোকেশ রাহুল শুধু এক অন্য ক্রিকেটারই নন, অন্য মানুষও। অনেক উজ্জ্বল, আরও আকর্ষণীয়। ক্রিকেটের এক নতুন স্টাইল আইকন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৪
Share:

নতুন হেয়ারস্টাইলের ছবি টুইট করলেন লোকেশ রাহুল।

গিয়েছিলেন এক চেহারায়। ফিরলেন অন্য রূপে।

Advertisement

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে ফিরে লোকেশ রাহুল শুধু এক অন্য ক্রিকেটারই নন, অন্য মানুষও। অনেক উজ্জ্বল, আরও আকর্ষণীয়। ক্রিকেটের এক নতুন স্টাইল আইকন। তাঁর নতুন ব্রেডেড (বিনুনি)) হেয়ারস্টাইলই যেন পুরো বদলে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের এই নতুন তারকাকে।

মাস দুয়েকের ক্যারিবিয়ান সাফারিতে সেখানকার লোকেদের এই বিনুনি মার্কা হেয়ারস্টাইল দেখে হঠাৎ রাহুলেরও ইচ্ছে হল, এ বার তাহলে চুলের স্টাইলটা পাল্টে ফেলা যাক। যা তিনি প্রায়ই করে থাকেন। আর স্কুলে পড়ার সময় থেকেই এটা তাঁর অভ্যাস বলতে পারেন। তখন থেকেই বিভিন্ন হেয়ারস্টাইলের ভক্ত রাহুল। ‘‘এই নিয়ে বাড়িতে কম অশান্তি হয়নি। বাবা-মা কেউই খুব একটা পছন্দ করতেন না আমার এই চুলের স্টাইল করার অভ্যাস’’, বলেন রাহুল। পছন্দ করবেন কী করে? বাবা কে এন লোকেশ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান। মা রাজেশ্বরী ম্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কলেজের প্রফেসর। তাঁদের ছেলে যেমন ইচ্ছে চুলে স্টাইল করে ঘুরে বেড়াবে, তা তাঁরা সহ্য করবেন না, এটাই স্বাভাবিক। তবু রাহুল চালিয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন তারকার বক্তব্য, ‘‘স্কুলজীবনে ডেভিড বেকহ্যামের ভক্ত ছিলাম। ওঁর হেয়ারস্টাইল, ট্যাটু, পোশাক, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব আমার খুব ভাল লাগত। সেই থেকেই চুলের স্টাইল করাটা আমার অভ্যাস।’’ আর এক রকম হেয়ারস্টাইল টানা বেশি দিন রাখতেও পারেন না তিনি। বোর্ডের ওয়েবসাইটে রাহুল বলেছেন, ‘‘বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হেয়ারস্টাইল করতেই পছন্দ করি আমি। এই নতুন ব্রেডেড হেয়ারস্টাইলটা করানোর ইচ্ছা আমার বেশ কিছুদিন ধরেই হচ্ছিল। আর এর জন্য মায়ামির চেয়ে ভাল জায়গা আর কী হতে পারে? দেশে এটা করানো যাবে কি না, জানি না। তাই মায়ামিতেই একটা সালোনে ঢুকে পড়লাম।’’

‘‘স্কুলজীবনে বেকহ্যামের ভক্ত ছিলাম। ওঁর হেয়ারস্টাইল, ট্যাটু, পোশাক, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব আমার খুব ভাল লাগত।’’

ক্যারিবিয়ান্সে যুবকদের মধ্যে এই ব্রেডেড হেয়ার এখন নাকি বেশ জনপ্রিয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজেই তাই ঠিক করেন, চুলের স্টাইলটা পাল্টে ফেলবেন। রাহুল নিজেই জানাচ্ছেন, ‘‘ওখানে এই হেয়ারস্টাইলটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছিল। এমনিতেই ঠিক করেছি, লম্বা চুল আর বেশি দিন রাখব না। তাই লম্বা চুলে শেষ একটা ভাল স্টাইল করে নিতে চাইছিলাম। এটাই সেটা।’’

বরাবরই খেলার জগতের স্টাইল আইকনদের ভক্ত রাহুল তাঁর পছন্দের পাঁচ হেয়ারস্টাইলিস্টের তালিকা দিয়েও দিলেন। জ্লাটান ইব্রাহিমোভিচ, সের্জিও র‌্যামোস, ফার্নান্দো তোরেস, ডেভিড বেকহ্যাম ও কেভিন পিটারসেন। তাঁর আগের হেয়ারস্টাইলটা ছিল ইব্রার মতোই।

কিন্তু বাড়ি ফিরে যে ফের বাবা-মায়ের বকাঝকা খেতে হবে! লাজুক হাসি হেসে রাহুলের জবাব, ‘‘সে হয়তো হবে। কী আর করব। সরি মম, সরি ড্যাড। তবে ওঁরা আমার ব্যাপারটা জানেন। ওঁরা আমাকে এ রকম চুলের স্টাইল পাল্টাতে তো ছোট থেকেই দেখছেন। স্কুল থেকেও তো এই নিয়ে কতবার নালিশ শুনতে হয়েছে ওঁদের। তাই এ সবে ওঁরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। জানি এবারও ওঁদের পছন্দ হবে না। কিন্তু কী করব? সিদ্ধান্তটা যে নিয়ে ফেলেছি।’’

তাঁর নতুন চুলের স্টাইলের ছবি টুইট করার পর বলিউড অভিনেতা সুনীল শেঠি উত্তর দিয়েছেন, ‘‘কিছু ম্যাঙ্গালোরিয়ান কুল, কিছু কুলার... কিন্তু তুমি কুলেস্ট।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement