সেঞ্চুরির পর লোকেশ রাহুলকে বিরাট কোহালির শুভেচ্ছা। ছবি: এপি।
প্রথম ইনিংস (দ্বিতীয় দিন)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯৬/১০
ভারত ৩৫৮/৫ (ব্যাটিং)
প্রথম দিন থেমেছিলেন ৭৫ রানে। দ্বিতীয় দিন বেশি সময় নিলেন না সেঞ্চুরি হাঁকাতে। ওপেনার লোকেশ রাহুলের ব্যাটে ভারতের রান পৌঁছে গেল ৩০০র কোটায়। রাহুল থামলেন ১৫৮তে গ্যাব্রিয়েলের বলে ডরউইচকে ক্যাচ তুলে দিয়ে। সেঞ্চুরি করার পর লোকেশ রাহুল অবশ্য ক্রেডিট দিলেন ক্যারিবিয়ান বোলারদের। তিনি বলেন, ‘‘আমার ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদেরও ক্রেডিট দিতে হবে। এই উইকেট একদমই ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি ছিল না। পেস বেশি ছিল। তাই সব সময় এক লাইনে ব্যাট করা সম্ভব ছিল না।’’
এর পর অবশ্য আর কারও ব্যাট থেকেই বড় রান এল না। প্রথম দিনই প্যাভেলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন শিখর ধবন। দ্বিতীয় দিন লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ব্যাট করতে নেমেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। কিন্তু তিনি ৪৬ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন। এর পর অধিনায়ক বিরাট কোহালিও এদিন ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি। ৪৪ রানে চেসের বলে চন্দ্রিকাকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বিরাট। প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করা রবিচন্দ্রন অশ্বিন আউট হন মাত্র ৩ রানে। এই মুহূর্তে ৪২ রান করে ক্রিজে রয়েছেন অজিঙ্ক রাহানে। ১৭ রানে ব্যাট করছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ভারতের রান এই মুহূর্তে ৫ উইকেটে ৩৫৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জোড়া উইকেট নেন রস্টন চেস। একটি করে উইকেট শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও দেবেন্দ্র বিশুর।
প্রথম টেস্টে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টের শুরুতেই আবার ভারতীয় বোলারদের কাছে জোড় ধাক্কা খায় ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং। প্রথম দিনই ১৯৬ রানে শেষ হয়ে যায় ইনিংস। তৃতীয় দিন শুরু হওয়ার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে ১৬২ রানে এগিয়ে রয়েছে ভারত। লোকেশ রাহুল বলেন, ‘‘এটা টেস্ট ম্যাচ, হাতে অনেকটা সময় থাকে। ওদের আমরা ১৯৬এ অল-আউট করে দিয়েছিলাম। আমাদের হাতে চারদিন ছিল। দ্রুত রান তুলতে হবে এমনও ছিল না। আমরা তাই লুস বলের অপেক্ষায় ছিলাম। আমার মতে শুরুটা আমরা ভালই করেছি। আমাদের ব্যাটিং ইউনিট নিয়ে আমরা খুশি। আরও কিছু রান তুলতে হবে আমাদের।’’
আরও খবর
লোকেশের সেঞ্চুরিতে স্বস্তির সঙ্গে সমস্যাও