জয়েই থাকল লিভারপুল। ছবি: রয়টার্স
জয় দিয়েই বছর শেষ করল লিভারপুল। তবে উলভসের বিরুদ্ধে জয়ের রাতে য়ুর্গেন ক্লপের দলের জয়ের সঙ্গে যুক্ত রইল ভিডিয়ো প্রযুক্তি (ভিএআর) বিতর্কও।
প্রথমার্ধের শেষে উলভসের ফের্নান্দো নেতোর গোল বাতিল হয় ভিডিয়ো প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে। ধারাভাষ্যকারেরাও বুঝতে পারেননি, কেন গোল বাতিল করা হল। রিপ্লেতে দেখা যায়, অফসাইড লাইনের বাইরে শরীরের কোনও অংশই ছিল না নেতোর। এমনকি বুটের সুতোও লাইনের বাইরে দেখা যায়নি। প্রাক্তন ইংল্যান্ড ফুটবলার গ্যারি লিনেকার প্রথমে টুইট করেন, ‘‘অসাধারণ গোল। ১-১ হয়ে গেল।’’ তার পরেই তাঁর টুইট, ‘‘লাইন ও ডটগুলো ছাড়া কিছুই বাইরে নেই। শরীরের কোনও অঙ্গ তো একেবারেই না।’’ যোগ করেন, ‘‘হে ঈশ্বর, ফুটবলকে রক্ষা করো।’’
এই ভিডিয়ো প্রযুক্তির সিদ্ধান্তেই ৪২ মিনিটে সাদিয়ো মানের গোল বাতিল করা হয়েছিল। রেফারি ভেবেছিলেন বল হাতে লাগে অ্যাডাম লালানার। কিন্তু ভিএআর-এর সাহায্যে দেখা যায় কাঁধের পাশে লেগেছে বল। ১-০ এগিয়ে যায় লিভারপুল। যা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ম্যাচের পরে সেই প্রসঙ্গে লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফান ডাইক বলেছেন, ‘‘কী হয়েছে, বলতে পারব না। শুনছিলাম, বল নাকি লালানার হাতে লেগেছে। তবে ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছে। আমরা জিতেছি।’’ গোলদাতা সাদিয়ো মানে বলেছেন, ‘‘আমি কিন্তু একবারের জন্যও বিভ্রান্ত হইনি। জানতাম ওটা নিশ্চিত গোল। তবে এ-ও ঠিক, ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল। আর এ ধরনের ঘটনা ফুটবলেরই অঙ্গ। তা মেনে নিতে হয় সকলকেই।’’
এ দিকে, এমিরেটসে শেষ দশ মিনিটে পুরো অঙ্ক বদলে দিল ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের দল। বছরের শেষ রবিবার আর্সেনালের বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেও চেলসি ম্যাচ শেষ করল ২-১ জিতে।
ম্যাচের শুরুতে মাইকেল আর্তেতার দলকে এগিয়ে দেন পিয়ের এমেরিক আবুমেয়ং। ৮৩ মিনিটে ম্যাসন মাউন্টের ক্রস থেকে ট্যাপ করে গোল শোধ করেন জর্জিনহো। তার পর থেকে আরও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করে চেলসি। ৮৭ মিনিটে নিজেদের বক্সে হেড উইলিয়ানকে পাস দেন আন্তোনিয়ো রুডিগার। ব্রাজিলীয় উইঙ্গার বিপক্ষ রক্ষণ ভেদ করে পাস দেন ট্যামি আব্রাহামকে। সেখান থেকে দুরন্ত গোল তরুণ স্ট্রাইকারের। উল্লসিত ম্যানেজার ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড বলেছেন, ‘‘অনেক সুযোগ নষ্ট হয়েছে। তবে ফুটবলারদের লড়াই দেখে সন্তুষ্ট। এই ছন্দ নতুন বছরেও ধরে রাখতে হবে।’’