যুগলবন্দি: সালাহ, মানের গোলেই শেফিল্ডকে হারাল লিভারপুল। এএফপি
টানা এক বছর অপরাজিত থেকে নজির গড়লেন মহম্মদ সালহরা! অ্যানফিল্ডে বৃহস্পতিবার লিভারপুল ২-০ হারাল শেফিল্ড ইউনাইটেডকে। এই জয়ে এক নম্বর লিভারপুল লিগ টেবলে দু’নম্বরে থাকা লেস্টার সিটির থেকে ১৩ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করল। দু’টি গোল করলেন সালাহ (৪ মিনিট) ও সাদিয়ো মানে (৬৪ মিনিট)।
শেষ ২০ ম্যাচের ১৯টিতেই জয়! একটা পরিসংখ্যানই যথেষ্ট এ বারের ইপিএলে লিভারপুলের দাপট বোঝাতে। গত বছরের ৩ জানুয়ারিতে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে হারের পরে য়ুর্গেন ক্লপের দল অপরাজিত। ১৯৯০ সালের পরে প্রথম বার লিভারপুলের লিগ খেতাব জয় নিশ্চিত। গত বার ইউরোপ সেরা হলেও এক পয়েন্টের জন্য লিগ খেতাব পায়নি। কাকতালীয় কিছু না ঘটলে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ইপিএল জয়ের হ্যাটট্রিকটা হচ্ছে না। চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে লিভারপুল।
শেফিল্ডের বিরুদ্ধে প্রথম গোলের ক্ষেত্রে ভাগ্য সহায় ছিল লিভারপুলের। একটা বল বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে জর্জ ব্যাল্ডক পড়ে গেলে অ্যান্ডি রবার্টসন তা ধরে ফাঁকায় দাঁড়ানো সালাহকে পাস দেন। খুব কাছ থেকে শট নিয়ে গোল করতে ভুল করেননি ‘মিশরের মেসি’। দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেও সেই রবার্টসনের পাস ধরে সালাহর সঙ্গে ওয়াল খেলে নিখুঁত গোল করে আসেন সেনেগালের তারকা মানে।
বছরের হিসেব ধরলে ৩৭ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ১০১। মোট গোল ৮৯। পেপ গুয়ার্দিওলার ‘তিকিতাকা’ এখনও চর্চার বিষয় হলেও এই মরসুমে সব চেয়ে বেশি পাস কিন্তু রবের্তো ফির্মিনো, মানে, সালাহরা খেলেছেন। ফুটবলারদের এ হেন পারফরম্যান্সে আপ্লুত ম্যানেজার ক্লপ। গর্বিতও। শেফিল্ডকে হারিয়ে উঠে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘আগেও অনেক ক্লাবে কোচিং করিয়েছি। কিন্তু ফুটবলাররদের এ রকম দায়বদ্ধতা কম দেখেছি। ওদের বলে যাচ্ছি, যতই এগিয়ে থাকি না কেন, ম্যাচে একটা সেকেন্ডও যেন আত্মতুষ্টি না দেখি। ফুটবলারেরা সেটাই করছে। আমি ওদের জন্য গর্বিত।’’
ইপিএলের আর পাঁচটা ক্লাবের মতো লিভারপুলকেও ভোগাচ্ছে চোট-আঘাত। ফাবিনহো, চেম্বারলেন, মাতিপরা ছিটকে গিয়েছেন। মূলত ১৩ জন সিনিয়রের উপর নির্ভর করে খেলে যাচ্ছে। তার উপর ন্যাবি কেইতা বৃহস্পতিবার ওয়ার্ম আপের সময় চোট পান। ক্লপও বললেন, ‘‘১৩ জন দলটা টানছে। কেইতাও মনে হচ্ছে ছিটকে গেল। সংখ্যাটা কমে দাঁড়াল বারো। বুঝতেই পারছেন কতটা কঠিন কাজটা। তবু যে ভাবে ছেলেরা খেলছে তা দেখে আমি মুগ্ধ।’’
হ্যামস্ট্রিং ছিঁড়েছে হ্যারি কেনের: হ্যামস্ট্রিং ছিঁড়েছে হ্যারি কেনের। আগামী বেশ কিছু দিন তিনি মাঠে ফিরতে পারবেন না বলে জানাল টটেনহ্যাম হটস্পার। হ্যারি নিজে অবশ্য সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করতে টুইট করলেন, ‘‘মাথা উঁচু রাখো। বেশি দিন খারাপ সময় থাকে না। মানসিক ভাবে শক্তিশালী হলে ঠিক তার থেকে বেরিয়ে আসা যায়।’’ চোট সমস্যা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডেও। তাদের ম্যানেজার ওয়ে গুন্নার সোলসার জানালেন, শুধুই ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পরামর্শে পল পোগবার গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার হবে না। ম্যান ইউয়ের মেডিক্যাল টিমেরও এ’ব্যাপারে পূর্ণ সম্মতি আছে। সঙ্গে সোলসার আরও জানাচ্ছেন, অস্ত্রোপচারের ব্যাপারে নিজের আস্থা আছে এমন চিকিৎসকের মত নেওয়ায় অন্যায় নেই। তিনি নিজেও সেটাই করতেন। চোট গুরুতর কিছু নয়। তিন থেকে চার সপ্তাহ পরে পোগবা আবার খেলতে পারবেন।