উচ্ছাস: গোল করে অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলিন।—ছবি এএফপি।
গান থামার নয় লিভারপুল ভক্তদের। তা সে অ্যানফিল্ড হোক, বা লন্ডন স্টেডিয়াম! বাণী খুব সোজা-সরল, ‘‘এ বার তো তোমরা বিশ্বাস করবে?’’
প্রায় তিরিশ বছর পরে লিভারপুল যে ইংল্যান্ডে লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছে, একজন তা এখনও বিশ্বাস করছেন না। বুধবার ওয়েস্ট হ্যামকে মহম্মদ সালাহরা ২-০ হারিয়ে টেবলের দু’নম্বর ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সঙ্গে ১৯ পয়েন্টের ফারাক গড়ার পরেও নয়। য়ুর্গেন ক্লপ বলে দিচ্ছেন, ‘‘ওরা কী গান গাইবে তা তো আমি বলে দিতে পারি না। কিন্তু ওরা গাইছে বলেই এমন নয় যে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলাম!’’
ওয়েস্ট হ্যামের বলিয়েন গ্রাউন্ডে বুধবার দেখা গিয়েছে অচেনা লিভারপুলকে। অবিশ্বাস্য ভাবে অত্যন্ত মন্থর আর বিরক্তিকর ফুটবল খেললেন রবের্তো ফির্মিনোরা। পেশিতে চোট থাকায় বিশ্রামে ছিলেন সাদিয়ো মানে। লিভারপুল-আক্রমণের চকিত ঝটকাও তাই হারিয়ে গেল।
ক্লপ স্বয়ং স্বীকার করলেন সে সব। ‘‘আজ আমরা যে ফুটবলটা খেলেছি তাকে খুবই সাধারণ মানের বেশি বলতে পারব না।’’ দ্য রেডসের দু’টি গোলের ফাঁকতালে একটি পেনাল্টি থেকে করে গেলেন সালাহ। ৩৫ মিনিটে। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় গোলটি অবশ্য মারাত্মক আগ্রাসী আক্রমণের পরিণতি। ৫২ মিনিটে সে গোল করেন অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলিন। কিন্তু এমন নিখুঁত একটা আক্রমণ ইপিএলে এই ম্যাচের সম্পূর্ণ চরিত্র বিরোধী ঘটনা।
দলের এ হেন ফুটবল নিয়ে অবশ্য বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন না ক্লপ, ‘‘আরে বিপক্ষ দল এতটা ডিফেন্সিভ খেললে সব সময় জেতা কঠিন হয়ে যায়।’’ যোগ করছেন, ‘‘এটা খুব সত্যি যে আজ প্রতিটি বিভাগে চাইলে আরও ভাল খেলতে পারতাম। সেটা পাসিং থেকে শুরু করে রক্ষণ সামলানো— সব দিক ভেবে বলছি। কিন্তু এই একটা দিনে কী হল না হল, তাকে পরোয়া করার লোক আমি নই।’’
আর পাঁচটা ক্লাবের মতোই লিভারপুলের সামনে এখন ঠাসা সূচি। ক্লপ বলে গেলেন, ‘‘সত্যি অত আর ভাবতে পারছি না। আপাতত সাউদাম্পটন ম্যাচের কথা মাথায় রাখছি। বাকি সব পরে দেখা যাবে।’’