মুখোমুখি: নতুন ক্লাবের প্রথম অনুশীলনে নামার আগে মেসি ও এমবাপে। বৃহস্পতিবার প্যারিসে। টুইটার
কিলিয়ান এমবাপে গণমাধ্যমে লিখলেন, ‘‘প্যারিসে তোমাকে স্বাগত লিয়ো।’’ প্যারিস সাঁ জারমাঁয় ফুটবল জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়ে গেল লিয়োনেল আন্দ্রেস মেসির। বৃহস্পতিবারই নেমে পড়লেন অনুশীলনে। বিস্ময়ের ব্যাপার, আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তি ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছে গেলেন নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা আগেই!
এমবাপে পিএসজিতে মেসির সঙ্গে নিজের বেশ কয়েকটা ছবিও পোস্ট করলেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দু’জনে হাসি মুখে গল্প করছেন। অন্য একটা ছবিতে আবার তাঁরা আলিঙ্গনাবদ্ধ। বুধবার নতুন ক্লাবে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এসে মেসি বলেছিলেন, ‘‘এক মাস মাঠের বাইরে আছি। এ বার শারীরিক ভাবে তৈরি হতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব এখানে খেলতে চাই। অন্য কিছুই ভাবছি না।’’ ফুটবলে ফিরতে মেসি কতটা উন্মুখ, তা পরিষ্কার হয়ে গেল প্রথম দিনের অনুশীলনে তিনি দু’ঘণ্টা আগেই পৌঁছে যাওয়ায়। সাদা টি-শার্ট পরা প্রাক্তন বার্সা অধিনায়ক অবশ্য মধ্য প্যারিসের অভিজাত হোটেল থেকে একা স্টেডিয়ামে আসেননি। সঙ্গে অন্য একটি গাড়িতে তিন ছেলেকে নিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী আন্তোনেলাও।
পিএসজিতে সরকারি ভাবে প্রথম দিন মেসি পরিচিত হন সতীর্থদের সঙ্গে। বেশ খানিকটা সময় আলোচনা করে নেন কোচিং স্টাফকে নিয়ে। নতুন ক্লাবের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মৌরিসিয়ো পচেত্তিনোও আর্জেন্টিনীয়। মেসি স্বীকার করেছেন, এই ব্যাপারটা তাঁর কাজ অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। একটি সূত্রের খবর, ছ’টি বালঁ দ্য-র মালিক এ দিন অনেকটা সময় আড্ডা মারেন পিএসজিতে তাঁর আর্জেন্টিনীয় সতীর্থ লিয়ান্দ্রো পারেদেস ও অ্যাঙ্খেল দি মারিয়ার সঙ্গে। প্রত্যাশিত ভাবেই কিংবদন্তি ফুটবলারের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর প্রিয় বন্ধু নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র এবং ‘রিয়াল মাদ্রিদের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী’ সের্খিয়ো র্যামোসের।
চর্চায়: একই ক্লাবের জার্সিতে মেসি ও র্যামোস। টুইটার
এমনিতে পিএসজিতে মেসির প্রথম দিনের অনুশীলন হয়েছে অবরুদ্ধ স্টেডিয়ামে। সেখানে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার ছিল না। জানা যাচ্ছে, এ দিন তিনি ফুটবল নিয়ে খুব বেশিক্ষণ অনুশীলন করেননি। বেশির ভাগ সময় তাঁকে মাঠে বল ছাড়াই দৌড়তে দেখা গিয়েছে। রবিবার পার্ক দি ফাঁস-এ ফরাসি লিগ ওয়ানে পিএসজি খেলবে স্ট্রাসবাগের সঙ্গে।