চর্চায়: ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই ইবিজ়ায় সস্ত্রীক ভ্রমণে মেসি।
ক্যাটালোনিয়া সরকারের পরামর্শ উপেক্ষা করে বেড়াতে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন লিয়োনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেস।
স্পেনে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও সম্প্রতি ক্যাটালোনিয়ায় বেশ কিছু অঞ্চলে ফের মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু বার্সেলোনার দুই তারকা তা অমান্য করেই ইবিজ়ায় ছুটি কাটাতে গিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, কখনও জেট স্কি নিয়ে সমুদ্রের জলে আলোড়ন তুলছেন মেসি-সুয়ারেস। কখনও আবার প্রমোদতরীর ডেকে বসে রোদ পোহাচ্ছেন বার্সার সেরা দুই অস্ত্র। স্পেনীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি, জেরার পিকে, মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগানও নাকি ছুটি কাটাতে গিয়েছেন বার্সেলোনার বাইরে।
লা লিগা খেতাব হাতছাড়া হওয়ার যন্ত্রণা ভুলতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগকেই এখন পাখির চোখ করেছেন বার্সার ফুটবলারেরা। এ ক্ষেত্রে তাঁদের প্রধান বাধা নাপোলি। প্রথম পর্বে ঘরের মাঠে ইটালির ক্লাবটি আটকে দিয়েছিল কিকে সেতিয়েনের দলকে। শুধু তাই নয়। নাপোলি ম্যানেজার জেন্নারো গাট্টুসোর রণনীতি নিষ্প্রভ করে রেখেছিল মেসিকে। এ বার লড়াই ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু-তে। ৮ অগস্ট। এই কারণেই টানা ম্যাচ খেলে ক্লান্ত ফুটবলারদের বিশ্রাম দিয়েছেন বার্সা ম্যানেজার। ২৯ জুলাই থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রস্তুতি শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে সেতিয়েনের।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে নামার আগে বার্সা শিবিরে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে লা লিগার ব্যর্থতা। পয়েন্ট টেবলে পিছিয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ দুরন্ত গতিতে উঠে এসে খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছিল। ম্যানেজারের সঙ্গে ফুটবলারদের দূরত্বও ক্রমশ বেড়েছে। মেসি থেকে সুয়ারেস— সকলেই প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন সেতিয়েনের রণনীতির। ঘরের মাঠে ওসাসুনার বিরুদ্ধে হারের পরে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বার্সার অন্দরমহল। পরিস্থিতি সামলাতে আর্জেন্টিনা অধিনায়ককেই আসরে নামতে হয়েছিল। সতীর্থদের নিয়ে আত্মসমালোচনায় বসেছিলেন মেসি। পরের ম্যাচেই আলাভেসকে ৫-০ চূর্ণ করে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটায় বার্সা। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করে সব চেয়ে বেশি বার (৭) পিচিচি ট্রফি জয়ের কীর্তি গড়েন মেসি। ভেঙে ফেলেন প্রাক্তন সতীর্থ জাভি হার্নান্দেসের এক মরসুমে সর্বাধিক সহায়তার নজিরও।