ছবি: রয়টার্স।
কোপা আমেরিকা চলাকালীন সংগঠকদের বলেছেন দুর্নীতিগ্রস্ত। ব্রাজিলকে চ্যাম্পিয়ন করতেই নাকি সাজানো হয়েছিল ঘুঁটি। এমনকি রেফারির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে। এমনও ইঙ্গিত দেন যে, গ্যাব্রিয়েল জেসুসদের কোপা জেতাতে গভীর ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্খা। এখানেই শেষ নয়। এমনকি কোপার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানেও বয়কট করেন তিনি।
এ হেন বিস্ফোরক বিষোদ্গার যাঁর, সেই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ফুটবলার লিয়োনেল মেসিকে কার্যত কোনও শাস্তিই দেওয়া হল না। চিলির বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে গ্যারি ডেলের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেছিলেন মেসি। শুধুমাত্র এই ঘটনার জন্য বার্সা তারকাকে এক ম্যাচ নির্বাসিত করেছে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা (কনমেবল)। সঙ্গে তাঁর প্রায় ১ লক্ষ ৩ হাজার ৪৪৭ টাকা জরিমানা হয়েছে। পরিস্থিতি যা দাঁড়াল, তাতে হয়তো মেসি ২০২২ বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জনে আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন না।
মেসির মতোই কনমেবলের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই বলেছিলেন আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়ো তাপিয়া। তিনিই ফিফায় দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি ছিলেন। কনমেবল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁর কাছ থেকে এই পদ কেড়ে নিল। এ দিকে, মেসি নিজে এখন সপরিবারে অ্যান্টিগায় ছুটি কাটাচ্ছেন। আপাতত বার্সার সঙ্গে তাঁর নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার অপেক্ষা। স্পেনের ক্লাবটি জানিয়েছে, তারা চায় আর্জেন্টাইন তারকা তাদের দলে খেলেই অবসর নিন। বার্সার সঙ্গে মেসির প্রথম পেশাদারি চুক্তি হয় ২০০৪ সালে। নতুন চুক্তি হলে সেটা হবে দশম বারের জন্য।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।