রোনাল্ডোকে ভুল প্রমাণ করে ৭১ ছুঁলেন মেসি

টানা চার বারের ব্যালন ডি অর হাতছাড়া। কিছু দিনমাত্র আগেই এল ক্লাসিকোয় হার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে মাঠ-মাঠের বাইরে কোনও দ্বৈরথেই যেন পাত্তা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে ইউরোপিয়ান ফুটবলে এই মুহূর্তে যে বিষয়টির টিআরপি সর্বোত্তম, সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বকালীন সর্বোচ্চ গোলদাতা রাউলকে কে আগে ছোঁবেন-এর লড়াইয়ে চিরশত্রু ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে হারিয়ে দিলেন লিও মেসি। কিছু দিন আগেই রোনাল্ডো গর্ব করে বলেছিলেন, “মেসির আগেই আমি ছুয়ে ফেলব রাউলের রেকর্ড।” না, সিআর সেভেন নন, রাউলের ৭১ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ গোলের নজিরে আগে পৌঁছলেন এলএম টেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:২০
Share:

৭১ নম্বরের পর। ছবি: এএফপি।

টানা চার বারের ব্যালন ডি অর হাতছাড়া। কিছু দিনমাত্র আগেই এল ক্লাসিকোয় হার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে মাঠ-মাঠের বাইরে কোনও দ্বৈরথেই যেন পাত্তা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে ইউরোপিয়ান ফুটবলে এই মুহূর্তে যে বিষয়টির টিআরপি সর্বোত্তম, সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বকালীন সর্বোচ্চ গোলদাতা রাউলকে কে আগে ছোঁবেন-এর লড়াইয়ে চিরশত্রু ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে হারিয়ে দিলেন লিও মেসি। কিছু দিন আগেই রোনাল্ডো গর্ব করে বলেছিলেন, “মেসির আগেই আমি ছুয়ে ফেলব রাউলের রেকর্ড।”

Advertisement

না, সিআর সেভেন নন, রাউলের ৭১ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ গোলের নজিরে আগে পৌঁছলেন এলএম টেন।

বুধ-রাতে টুর্নামেন্টের গ্রুপ ম্যাচে আয়খসের বিরুদ্ধে বার্সেলোনার ২-০ জয়ে জোড়া গোলই মেসির। প্রথমটা হেডে। পরেরটা দ্বিতীয়ার্ধে। তার পরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৯০ ম্যাচে ৭১ গোল করা মেসি বলে দিয়েছেন, “আমার দু’টো গোলকে ধন্যবাদ। তবে আমি রেকর্ড ছুঁয়েছি বলে নয়। আমার গোলে আমাদের দল জিতেছে বলে। নক আউটে পৌঁছে গিয়েছে বলে। ওটাই খুশির আসল কারণ।”

Advertisement

‘আমি’-র আগে ‘আমাদের’-কে অগ্রাধিকার দেওয়া মেসিকে অবশ্য প্রচারমাধ্যম ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সিংহাসনে বসিয়ে দিয়েছে। ‘মুন্দে দেপোর্তিভো’-র প্রথম পাতায় হেডিং— ‘গোল্ডেন মেসি’। ‘স্পোর্ট’ পত্রিকা লিখেছে, ‘কিং অব ইউরোপ’।

বার্সেলোনার রাজপুত্র নিজে কী বলছেন? “ভাগ্যক্রমে আমরা জিতেছি এবং খুশি মনে বাড়ি ফিরতে পারছি। ওরাই (আয়াখস) বেশি ভাল খেলেছে। আমাদের গোটা মাঠ ছুটিয়ে মেরেছে। তার মধ্যেই দু’টো গোল করতে পেরেছি, দলকে জেতাতে পেরেছি বলে আরও বেশি ভাল লাগছে,” বলেছেন মেসি। সঙ্গে এ-ও বলতে ভোলেননি তিনি, “চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের গোলই আমার চোখে নিজের সেরা।”

রোনাল্ডো চলতি মরসুমে গোলের বন্যা বইয়ে দিলেও মেসির ম্যাচের আগের রাতেই কোনও গোল পাননি। রাউলের রেকর্ড ছুঁতে রোনাল্ডোর মাত্র এক গোল দরকার ছিল। সেখানে মেসির দরকার ছিল দু’গোল। যা চব্বিশ ঘণ্টা পরেই করে ফেলে রোনাল্ডোকে এ যাত্রা পিছনে ফেলে দিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় প্রথম তিনমেসি (৯০ ম্যাচে ৭১ গোল )। রাউল (১৪২ ম্যাচে ৭১ গোল)। রোনাল্ডো (১০৭ ম্যাচে ৭০ গোল)। তবে একমাত্র মেসিই একটিই ক্লাবের জার্সিতে সব গোল করেছেন।

সিআর সেভেন এবং এলএম টেন-এর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ গোল-যুদ্ধ আবার শুরু হবে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে। ২৫ নভেম্বর টুর্নামেন্টে বার্সার পরের ম্যাচ আপোয়েলের সঙ্গে। সে দিন এক গোল করলেই মেসির একক দখলে এসে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড। তবে তার আগের রাতেই (২৪ নভেম্বর) বাসেলকে রিয়ালের রোনাল্ডো ক’টা গোল দিয়ে মেসিকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারেন সেটাও দেখার। তবে আপাতত গোল-কেন্দ্রে মেসি-ই। হিসেবনিকেষ চলছে, তাঁর ৭১ গোলের সবচেয়ে বেশি টার্গেট এসি মিলান (৮ গোল)। তার পরেই গত রাতের আয়াখস (৬ গোল)। একটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে মেসি সর্বোচ্চ চার গোলও করেছেন এক বার।

মেসির গোল-রেকর্ডের রাতে আবার সিএসকেএ মস্কো ম্যাঞ্চেস্টার সিটিকে তাদের মাঠে গিয়ে ২-১ হারিয়ে চমকে দিয়েছে। মোরিনহোর চেলসিকে ১-১ আটকে দিয়েছে মারিবোর। এক কথায়, মেসি-রাতে দুর্দিন গিয়েছে ইপিএল ক্লাবগুলোর!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement