বঙ্গ ক্রিকেটের লক্ষ্মী বিসর্জন রহস্য

রাত বারোটা তিন। গঙ্গার ধার থেকে জাহাজের ডাকা ২০১৬-র আগমনী ভেঁপু শেষ হল। বর্ষশেষের সীমান্তরেখা সদ্য অতিক্রান্ত। দক্ষিণ কলকাতার জনবহুল নিউ ইয়ার্স ইভ পার্টিতে সম্পূর্ণ অপরিচিতরাও তখন জড়িয়ে ধরছেন একে অপরকে। এগিয়ে এলেন বাংলা ও ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার। অনিবার্য নতুন বছরের শুভেচ্ছা। অথচ কানের কাছে মুখ এনে যেটা বললেন, তাকে তো শুভেচ্ছা বলা চলে না। তাঁর গলায় যে গভীর বিষণ্ণতা।

Advertisement

গৌতম ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৬ ০৩:৪৯
Share:

রাত বারোটা তিন।

Advertisement

গঙ্গার ধার থেকে জাহাজের ডাকা ২০১৬-র আগমনী ভেঁপু শেষ হল। বর্ষশেষের সীমান্তরেখা সদ্য অতিক্রান্ত। দক্ষিণ কলকাতার জনবহুল নিউ ইয়ার্স ইভ পার্টিতে সম্পূর্ণ অপরিচিতরাও তখন জড়িয়ে ধরছেন একে অপরকে। এগিয়ে এলেন বাংলা ও ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার। অনিবার্য নতুন বছরের শুভেচ্ছা। অথচ কানের কাছে মুখ এনে যেটা বললেন, তাকে তো শুভেচ্ছা বলা চলে না। তাঁর গলায় যে গভীর বিষণ্ণতা।

‘‘এটা কী হল লক্ষ্মীর সঙ্গে? এর আগেও ফিটনেস টেস্ট করিয়ে ওকে ওরা বাদ দিয়েছিল। আবার অবসরে চলে যেতে বাধ্য করা হল।’’ ওই হুল্লোড়বাজির পরিবেশে লক্ষ্মীরতন শুক্ল নামটাই অকল্পনীয়। কিন্তু গত দু’দিন স্থানীয় ক্রিকেটে যা ঘটছে, তাতে কোনও কিছুই আর অকল্পনীয় নয়। যিশু সেনগুপ্তও তো একটু আগে ওই ডিজে গেরুয়ার গানটা বাজাচ্ছে আর স্টেজে নাচছে একপাল নর-নারী, ওই পরিবেশেই জিজ্ঞেস করছিলেন, ‘‘লক্ষ্মীর ব্যাপারটা কী হল বলুন তো?’’ এক-এক সময় মনে হচ্ছে লক্ষ্মী বিসর্জন-রহস্য উদ্ধারে যিশুর অভিনীত সাড়াজাগানো চরিত্রকে লাগানো উচিত— গোয়েন্দা ব্যোমকেশ।

Advertisement

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে লক্ষ্মী-বিসর্জনে যে পরিমাণ আবেগ নিঃসৃত হচ্ছে, তা এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে থাকা ঋদ্ধিমানও পেতেন কি না, সন্দেহ। কেউ এমনও লিখছেন, দাদা তুমি পদে থাকতে এ জিনিস কী করে হল? লক্ষ্মী নিজেই সম্ভবত টের পাননি রাজ্যের মানুষের মনে যে তাঁর সম্পর্কে এই পরিমাণ আবেগ লুকিয়ে আছে। বলা হয়নি, বর্ষশেষের দুপুরে প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকেও বিস্ময়াবিষ্ট দেখাল, ‘‘লক্ষ্মী হঠাৎ ছাড়ল কেন?’’

শুক্রবার দুপুরে আবার প্রবাদপ্রতিম ক্রীড়ানক্ষত্র অবাক হয়ে জানতে চাইছেন, আনন্দবাজারের খেলার পাতা লক্ষ্মীর জন্য এতটা জায়গা দিচ্ছে কেন? ইনি সত্তর দশকের বাংলা অধিনায়ক। বলতে চান, বাংলার হয়ে তো শ্যামসুন্দর মিত্রও ধারাবাহিক পারফর্ম করেছেন। কই তাঁর চলে যাওয়ার সময়ও তো এ সব হয়নি?

এরই মাঝে অব্যাহত রইল ক্রিকেটমহলের নানান অংশের ফোনাফুনি— শকিং! এটা কী হল? এর ফলে কী দাঁড়াতে পারে? ভাবাই যায় না বাঙালির ক্যালেন্ডারে নবতম পরবের চূড়ান্ত উন্মত্ততার মাঝে স্থানীয় এক ক্রিকেটারের চলে যাওয়া যে শহরের ধমনীতে এ ভাবে ঢুকে পড়তে পারে!

কী দাঁড়াতে পারে, অবশ্য পরিষ্কার। বাংলা যদি শনিবার নাগপুরে ভাল খেলে। রঞ্জির বাকি চ্যালেঞ্জে প্রশংসনীয় পারফর্ম করে, অন্তত স্থানীয় ক্রিকেটমহলে লক্ষ্মীকে নিয়ে সমবেদনা কমে আসবে। বলা হবে, এ বার বোঝা গেল তো কেন টিমে তরুণ রক্ত আনা দরকার ছিল?

কোথাও যেন মনে হয় তাতেও লক্ষ্মী নিয়ে আবেগের রেশ পুরোপুরি মুছে যাবে না। অভিমানী হয়ে ইডেন পরিত্যাগ করে তিনি যখন মোহনবাগান মাঠে ব্যতিক্রমী বিদায়ী সম্মেলন করছেন, মন হঠাৎ ফ্ল্যাশব্যাকে চলে গেল ছিয়াশির এক দুপুরে। যখন তাঁর বয়স সাড়ে ছয়। ইডেন দেখেছেনও বলে মনে হয় না।

জগমোহন ডালমিয়ার ঘরের বাইরে সে দিন দাঁড়িয়ে আছেন দিলীপ দোশি। গম্ভীর মুখ। দোশি তখনকার বাংলা ও পূর্বাঞ্চল অধিনায়ক। বিশেষ কোনও বৈঠক রয়েছে নাকি টিম নিয়ে? তাঁকে জিজ্ঞেস করায় কিছুই বললেন না। খানিক পরে বেশ হাসি মুখেই বেরিয়ে এলেন ডালমিয়ার ঘর থেকে।

এর আধ ঘণ্টার মধ্যে একটা টাইপ করা বিবৃতি সিএবির লেটারহেডে আমাদের ধরিয়ে রাখা হল। কী না, দোশি চোটের জন্য নিজেকে টিম থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। বাংলা ও পূর্বাঞ্চল দ্রুত পরের অধিনায়ক বেছে ফেলল। কানাঘুষো শুনলাম দোশির কিছু হয়নি। তিনি পুরো ফিট। তা হলে? দ্রুত বোঝা গেল, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। বাদ না দিয়ে তাঁকে কৌশলে সরিয়ে দেওয়া হল। রাতে ডালমিয়া দৈনিকের কিছু সাংবাদিককে ব্যক্তিগত অনুরোধ করলেন, ‘‘প্লিজ বাদ দিতে হল সরাসরি লিখবেন না। বাংলা ক্রিকেটে দোশির যা কন্ট্রিবিউশন, বিদায়বেলায় অন্তত সম্মানটা ওর প্রাপ্য।’’ সেন্টিমেন্টের সঙ্গে একমত হয়ে কেউ কড়া করে লেখেওনি।

লক্ষ্মীর ব্যাপারটা অবশ্য দোশির মতো সরল নয়। দোশির ক্ষেত্রে মাত্র দু’জন গোটা ঘটনায় জড়িত ছিলেন— সিএবি সচিব আর তিনি নিজে। এখানে আরও দু’পক্ষ হাজির— ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারি আর কোচ সাইরাজ বাহুতুলে। এমনিতে তিওয়ারির কোনও মত শুনে শুক্লর সম্পর্কে ধারণা করতে যাওয়াটা মহেশ ভূপতিকে জিজ্ঞেস করার মতো— আচ্ছা বলুন তো লিয়েন্ডার কেমন ছেলে? বাহুতুলে সম্পর্কে লক্ষ্মী নানা কথা বলেছেন। বাহুতুলেও প্রকাশ্য বৈঠকে তাঁর ইনভলভমেন্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বাড়তি কমিটমেন্ট চেয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, বাংলার শ্রীলঙ্কা সফর থেকে প্রথম বাহুতুলে-লক্ষ্মী সম্পর্কে নো নেটওয়ার্ক এসে যাওয়া শুরু। ওই সফরে লক্ষ্মীর ব্যক্তিগত শৃঙ্খলার মাপ কোচের নাকি ভাল লাগেনি।

তার পর থেকে দু’জনের সম্পর্কে অবনতি। কিন্তু টিমের অন্দরমহলে নতুন কোচ যা টুকরোটাকরা বলেছেন বা প্রশাসকদের জানিয়েছেন তার বেশির ভাগই কিন্তু প্রাক্ এ বারের মরসুম। তার মানে এগুলো কারও বা কাদের কাছ থেকে শোনা। ঠিক এমনই গ্রেগ চ্যাপেল আমলে ঘটত। সৌরভ নিয়ে অনেক কথা তিনি বলতেন যেগুলো একটাও তাঁর আমলে নয়। জন রাইটের সময় ঘটেছিল। বলা ভাল, সেগুলো বেশির ভাগই ছিল মিথ্যে। কিন্তু কানপাতলা গুরু গ্রেগের কান কেউ বা কারা সে ভাবেই বিষিয়েছিল।

বাহুতুলে কি তা হলে বঙ্গ ক্রিকেটে নতুন গ্রেগ চ্যাপেল হিসেবে উদিত? মনে হয় না। তাঁর সম্পর্কে যা রিপোর্ট, তাতে একনায়কতন্ত্র ঘোষণার কোনও পূর্ব ইতিহাস নেই। একই সঙ্গে তিনি দল পরিচালনায় চাতুর্য আনতে চরম ব্যর্থ। একটি ছেলে অনূর্ধ্ব ১৪ পর্যায় থেকে টানা বাইশ বছর বাংলার হয়ে পরের পর যুদ্ধ জিতেছে, হতেই পারে তার আজ অফ ফর্ম। সে ক্রমশ বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। খেলতে চাইছে না। এখানেই তো কোচের কাজ।

সৌরভ মাঝখানে একটা সময় রান না পেয়ে পেয়ে ভেতরে ভেতরে খুব শুকনো হয়ে যাচ্ছিলেন। একদিন হোটেলে নিজের ঘরে ঢুকে তিনি আবিষ্কার করেন, ঘরের ফোনে কোচের ভয়েস মেল। জন রাইটের গলা যে, আজ নেটে তুমি দারুণ ব্যাট করলে। এক বলের চূড়ান্ত অনিশ্চিত খেলায় এগুলো ছোট ছোট ফুলকির মতো। কিন্তু মিলেজুলে বাইশ গজের রংমশাল হয়ে যায়।

কী এমন ক্রিকেটারে ছেয়ে গেল সোনার বাংলা যে, লক্ষ্মীর জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না? আর ড্রেসিংরুম সংঘাত তো যুগে-যুগে, কালে-কালে থেকেছে। এই ড্রেসিংরুমে তো কেবল মনোজ বনাম লক্ষ্মী। বা সময়-সময় মনোজ বনাম দিন্দা। বাংলার যে টিম সম্বরণের নেতৃত্বে রঞ্জি জিতেছিল, তাতে তো চারটে গোষ্ঠী ছিল। এত মারাত্মক সেই বিভাজন যে, টিমের ম্যাচ জেতানো এক নম্বর ব্যাটসম্যান সেমিফাইনাল থেকে ডান হাতে কালো তাগা পরতেন। এই ভীতিতে যে, টিমের কারও কারও অভিশাপ হল তাঁর যেন বড় রান না হয়। কালো তাগা নাকি সেই অভিশাপ প্রতিহত করতে পারবে। রঞ্জি জিতে টিম খেলতে গেছিল উইলস ট্রফি। সেখানে এক ওপেনার বাদ পড়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বড় করে স্কোরশিটে লিখে দেন, বেঙ্গল তো নয়, ওয়ার্ল্ড ইলেভেন খেলতে এসেছে। মর্মার্থ, রঞ্জি জেতাও সেই টিমের স্পিরিট ঠিক করতে পারেনি।

এটাই তো কোচ, ক্যাপ্টেন বা কর্মকর্তার চ্যালেঞ্জ যে ঢেউ আসবেই। সেটাকে ম্যানেজ করে সাঁতরে পারে যেতে হবে। মনোজ তিওয়ারির কাছে সেটা আশা করাটা অবশ্যই ব্যান্ডেল চার্চে বাঘ দেখতে চাওয়া। কিন্তু কোচ, তাঁকে তো ম্যান ম্যানেজমেন্টের দিকটা দেখতে হবে। তাঁকে তো জানতে হবে এই টিমের কে, কী! তার অতীত কী! লক্ষ্মীকে কড়কানি দেওয়ার সঙ্গে এটাও জানতে হবে যে, এক বছর আগের কোচ অন্তত পাঁচ ক্রিকেটারের সামনে তিওয়ারিকে রাঁচিতে কেমন ধমকেছিলেন। ঘটনাস্থল ধোনির রাঁচি। অশোক মলহোত্র উত্তেজিত হয়ে যান কারণ তাঁর মনে হয়েছিল মনোজ ফিট না হয়ে বাংলার জন্য খেলতে এসেছেন। সেটাও অপরিণামদর্শী ম্যান ম্যানেজমেন্টের কাহিনি ছিল। হাফ-ফিট তিওয়ারিও এই বাংলার অর্ধেক ব্যাটসম্যানের চেয়ে ভাল। তাঁকে নিয়ে একটা চেষ্টা তো যে কোনও টিম করবে।

লক্ষ্মীর বেলাতেও তো তাই। যদি মনে করা হয় মামলা নিছক আউট অফ ফর্মের নয়, লক্ষ্মীরতনের ক্রিকেটই নিঃশেষিত— সেই বিদায়ের তো একটা বুদ্ধিদীপ্ত দৃশ্যপট তৈরি করা সম্ভব। যে তোমার অবদান স্মরণ রেখে সম্মানের সঙ্গে যেতে দেওয়া হবে।

আর সত্যি আউট অব ফর্ম? নাকি বিজয় হাজারের ব্যর্থতার জন্য একটা পাপী খুঁজে বার করা আর তার ওপর সব দোষ চাপিয়ে দেওয়া। ফর্ম নিয়ে এত কথা হচ্ছে, তা টুর্নামেন্টে মনোজের শেষ তিন ইনিংসের রান ৪৭। লক্ষ্মীর ৫৫। একটা ইনিংসে নট আউট-সহ। তা হলে কি যত খারাপ খারাপ বলা হচ্ছে, সত্যি তাই? আর শৃঙ্খলাভঙ্গ যদি ইস্যু হয়, তা হলে তো ক্যাপ্টেনের সঙ্গে প্রায় হাতাহাতিতে লিপ্ত হওয়ার জন্য অশোক দিন্দাকে প্রথম বসানো উচিত ছিল। সেটা যখন হয়নি, লক্ষ্মী সমর্থকেরা মনে করতেই পারেন, এটা একান্ত তাঁর জন্য ফাঁসিকাঠ তৈরি করা হচ্ছিল।

বিপরীতমুখী দর্শনে কারও কারও মনে হয়েছে, লক্ষ্মী নিজেই নিজের অক্ষমতা বুঝে সরে গেলেন। তাঁর ফিটনেস আর শরীর দিচ্ছিল না। এই তত্ত্বে বিশ্বাস হয় না। কোনও ক্রিকেটার তীব্রতম আঘাত পেলে তবেই আত্মহননের রাস্তা বেছে নিতে পারে যে, সে নির্বাচিত হয়েও আর খেলল না। সে চিরকালীন ভালবাসার ইডেনে বিদায়ী সম্ভাষণ না করে কি না করল মোহনবাগান টেন্টে।

এমন আজব ঘটনা বেঙ্গল ক্রিকেটের ইতিহাসে কখনও ঘটেছে বলে মনে হয় না। পঙ্কজ রায় নির্বাচিত হয়েও রঞ্জি ম্যাচের সকালে নিজেকে টিম থেকে সরিয়ে অবসরে চলে যান। এগারোয় ঢোকেন গোপাল বসু। পঙ্কজের মনে হয়েছিল, আর ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে মোটিভেট করতে পারছেন না।

কিন্তু সেটা তো অন্য রকম পরিস্থিতি। প্রত্যাবর্তনের রাস্তায় ক্ষতবিক্ষত হতে হতে আচমকা নিজে নিজের কপালে ট্রিগার টেনে দেওয়া। তা তো নয়। লক্ষ্মীকে প্রেস কনফারেন্সের এক ঘণ্টা আগেও শুভানুধ্যায়ীরা বহু বুঝিয়েছেন যে, চ্যাপেলের আমলে সৌরভকে কেন তুমি মোটিভেশন করছ না? ওটা তো আরও অসহনীয় অবস্থা ছিল। কিন্তু সবার তো অপমান নেওয়ার ক্ষমতা সমান নয়। তিনি বঙ্গ ক্রিকেটের প্রিয় এলআরএস আর সামলাতে পারেননি। কোথায় একটা আবেগাপ্লুত বিদায়ী সংবর্ধনা পাবেন ইডেন জুড়ে। বাংলার হয়ে শেষ ম্যাচে টস করতে দেওয়া হবে। এগিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে। যা দেখে অনূর্ধ্ব ১৪ উৎসাহিত বোধ করবে— ভাল খেললে একদিন আমিও পাব। তা নয়। নিজের পেশাদার জীবনের দীপই নিভিয়ে দিলেন লক্ষ্মী।

তাঁর বিসর্জনের প্রকৃত রহস্য অবগুণ্ঠিত রেখে। ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আলোচনা এতটা অপরিষ্কার নয়। মনে হচ্ছে রাজনীতি। শোনা যাচ্ছে পছন্দের দল তৃণমূল। এ সব ভাবনা অনেক দূর অস্ত। তবু ভোটে জিতে যদি বিধানসভাও যান, কী এমন পাবেন তিনি? বাংলাকে বাইরের মাঠে বড় ফাইনাল জেতানোর উদ্দীপ্ত অনুভূতি কোথায় ফেরত আসবে? এটা তো অনুভূতির এক রকম স্বেচ্ছামৃত্যু।

এ দিনের দ্বিপ্রাহরিক ফোনকারীকে লেখার মাধ্যমেই জানাচ্ছি, উনিশ বছর দাপিয়ে রাজ্যের হয়ে খেলার পর ক্রিকেটীয় আত্মহত্যা অভাবনীয়। অদ্যাবধি ঘটেনি তাই আনন্দবাজারের খেলার পাতা আবার লিখল! হয়তো আরও লিখবে!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement