মোহনবাগান রত্ন তুলে দেওয়া হল শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের হাতে মোহনবাগান
পেলের কসমস ক্লাবের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের দুর্গ আগলানোর দায়িত্ব ছিল তাঁর ওপর। তাঁর গোলরক্ষা করার মরিয়া প্রচেষ্টা অবাক করেছিল ফুটবল সম্রাটকেও। সেই শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়কে মরণোত্তর মোহনবাগান রত্ন দিল সবুজ-মেরুন ক্লাব। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর স্ত্রী মালা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুরষ্কার নিতে এসে বলেন, ‘‘পিচ্ছিল ইডেনের মাঠে কসমসের বিরুদ্ধে ম্যাচে পেলের পা থেকে বল ধরে নিয়েছিলেন শিবাজি। তাঁর ভয়ডরহীন খেলা দেখে পেলে বলেছিলেন, তুমি কি পাগল? এভাবে খেললে চোট লেগে যাবে তো!’’
শিবাজির স্মৃতিচারনায় এ ভাবেই অনেক গল্প উঠে এল মোহনবাগান দিবসের দিন। মোহন জনতার কাছে ২০১৪-১৫ সালের আই লিগ জয় আলাদাই আনন্দের। সাফল্য না পেয়ে ধুঁকতে থাকা মোহনবাগান সেই মরশুমে টেকনিক্যাল কমিটি তৈরি করেছিল। সেই কমটির অন্যতম সদস্য ছিলেন শিবাজি। সেই কথা আরও একবার মনে করিয়ে দেন ক্লাব সচিব সৃঞ্জয় বসু।
তিনি আরও বলেন, ‘‘শিবাজিদা কত বড় গোলরক্ষক ছিলেন তা আমরা সবাই জানি। তবে উনি আরও বড় মাপের মানুষ ছিলেন।’’ বাবার স্মৃতিচারন করতে গিয়ে শিবাজি পুত্র শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাবা বেঁচে থাকলে এই সম্মান নিতেন কি না জানি না। কারণ উনি কোনদিন নিজেকে কিংবদন্তি বলে মানেননি। তাঁর কাছে কিংবদন্তির সংজ্ঞা একেবারে আলাদা। তবে এই ক্লাব ওঁর কাছে ছিল পরিবারের মতো। পরিবারের থেকে এমন স্বীকৃতি পেতে ভালোই লাগে।’’
১৯১১-র ঐতিহাসিক শিল্ড জয়ের রেপ্লিকা জার্সিও প্রকাশ করা হল বৃহস্পতিবার। ২০ অগস্ট গোষ্ঠ পালের জন্মদিন। ওইদিন থেকে সাধারণ সমর্থকরা এই জার্সি কিনতে পারবেন। কর্তারা জানান সেইদিনের জার্সির রং, নকশা ঠিক করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁদের। করোনার কারণে গতবারের মতো এবারেও নেটমাধ্যমে পালিত হল মোহনবাগান দিবস।
মোহনবাগান দিবসে প্রকাশিত হল ১৯১১ সালের জার্সির রেপ্লিকা মোহনবাগান