নেরোকার বিরুদ্ধে অনিশ্চিত চুলোভা

কোচ আলেসান্দ্রো অবশ্য সময় নষ্ট না করে এ দিন থেকেই চুলোভার বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৪
Share:

লড়াই: সুস্থ হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চুলোভার। সোমবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

নেরোকা এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের বাহাত্তর ঘণ্টা আগে অস্বস্তি বাড়ল লাল-হলুদ শিবিরে। চোটের কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়লেন রক্ষণের অন্যতম ভরসা লালরাম চুলোভা।

Advertisement

মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আই লিগের ফিরতি ডার্বিতে চুলোভাকে অস্ত্র করেই সনি নর্দেকে নিষ্ক্রিয় করেছিলেন আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস গার্সিয়া। এ বারও তাঁকে দিয়েই নেরোকার কাতসুমি ইউসা ও চেঞ্চো গেলতসেনকে আটকানোর রণকৌশল ছিল ইস্টবেঙ্গল কোচের। কিন্তু রবিবার অনুশীলন ম্যাচে জবি জাস্টিনের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে বাঁ পায়ের পেশিতে চোট পান চুলোভা। যদিও টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছিল, চোট গুরুতর নয় তাঁর। অথচ সোমবার সকালে অনুশীলনই করতে পারেননি চুলোভা। পুরো সময়টাই মাঠের বাইরে ফিজিয়োথেরাপিস্টের কাছে রিহ্যাব করলেন। মাঠ ছাড়লেন খোঁড়াতে খোঁড়াতে। নেরোকার বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন? লাল-হলুদ রাইট ব্যাক করুণ হেসে জানালেন, চেষ্টা করছেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার। রবিবার চোট পেয়েছিলেন আর এক ডিফেন্ডার জনি আকোস্তাও। তিনি এ দিন পুরোদমেই অনুশীলন করেন।

কোচ আলেসান্দ্রো অবশ্য সময় নষ্ট না করে এ দিন থেকেই চুলোভার বিকল্প খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছেন। নেরোকা ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করার আগে প্রায় মিনিট কুড়ি ড্রেসিংরুমে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তার পরে ম্যাচ অনুশীলনে রাইট ব্যাক পজিশনে কখনও সালামরঞ্জন সিংহকে, কখনও সামাদ আলি মল্লিককে খেলালেন।

Advertisement

লাল-হলুদ কোচ চিন্তিত নেরোকার ডিফেন্ডারদের নিয়েও। কার্ড সমস্যায় আগের ম্যাচে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের ‘ব্রাত্য’ ডিফেন্ডার এদুয়ার্দো ফেরেইরা। তিনি এ বার দলে ফিরছেন। আলেসান্দ্রো মনে করছেন, ইস্টবেঙ্গলকে আটকাতে নেরোকার স্প্যানিশ কোচ ম্যানুয়েল ফারাইলে রক্ষণ মজবুত করে খেলবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর রণকৌশল হতে পারে চার জন ডিফেন্ডারের সামনে দু’জন ব্লকার রাখা। আলেসান্দ্রোকে দেখা গেল, পেনাল্টি বক্সের সামনে প্রথমে চারটি ম্যানিকুইন পরপর সাজিয়ে রাখলেন। তার সামনে আরও দু’টি। মিডফিল্ডারদের নির্দেশ দিলেন, ম্যানিকুইনের উপর দিয়ে জবি-এনরিকের উদ্দেশে বল ভাসিয়ে দিতে। স্ট্রাইকারদের জন্য নির্দেশ ছিল, বল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোলে মারতে হবে। সময় নষ্ট করা চলবে না।

নেরোকা ম্যাচের আগে মনঃসংযোগ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন না কোচ। ফুটবলারদেরও বারণ করে দিয়েছেন। কিন্তু লাল-হলুদ শিবিরে এখনও ডার্বি জয়ের রেশ চলছে। সোমবার বিকেলে জবিকে নতুন মোটরবাইক উপহার দিলেন কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement