অভিমানে অবসর নিয়ে ফেললেন লক্ষ্মীরতন

দলের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবে সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না লক্ষ্মীরতন শুক্লর। অভিমানে ২২ বছরের সঙ্গ ছেড়ে গেলেন তিনি। হতাশা গ্রাস করেছিল। বুঝে গিয়েছিলেন দলে ক্রমশ কোনঠাসা হচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৭:৩৩
Share:

দলের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবে সেটা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না লক্ষ্মীরতন শুক্লর। অভিমানে বাংলা ক্রিকেটের সঙ্গে ২২ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন তিনি। হতাশা গ্রাস করেছিল। বুঝে গিয়েছিলেন দলে ক্রমশ কোনঠাসা হচ্ছেন। প্রশ্ন উঠছে তাঁর দলের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে। তাই আর দেরী করলেন না। মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে বসে জানিয়ে দিলেন বাংলার হয়ে আর খেলবেন না তিনি। এই মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুটা তো সিএবিও হতে পারত। তার মানে কি সিএবির সঙ্গেও দুরত্ব তৈরি হয়েছে অনেকটাই? সে নিয়ে অবশ্য কিছু বললেন না। লক্ষ্মীরতন শুক্ল জানিয়ে দিলেন, ‘‘আমার সিদ্ধান্ত আমি নেব অন্য কেউ নেবে না। দু’দিন আগেই দাদিকে (সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়) জানিয়ে দিয়েছিলাম।দাদি থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম।’’

Advertisement

তাঁর দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই কেটেছে বাংলার ক্রিকেটে। জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ এলেও বেশিদিন খেলা হয়নি। কিন্তু অন্য রাজ্যে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। বলেন, ‘‘যখন বাংলার ক্রিকেটে টাকা ছিল না তখন প্রচুর টাকার অফার পেয়েও যাইনি। বাংলার হয়ে যখন খেলব না তখন অন্য কোনও রাজ্যের হয়ে কি করে খেলব।’’

জানিয়ে দিলেন আইপিএলও খেলার ইচ্ছে নেই। মোহনবাগান রাখলে ক্লাব ক্রিকেট খেললেও খেলতে পারেন। তবে বলে গেলেন, এটা তাঁর একান্ত নিজের সিদ্ধান্ত। দল থেকে বাদ দিয়ে আবার ফিরিয়ে নেওয়াটা মানতে পারেননি। মুখে সে কথা স্বীকার না করলেও বলেন, ‘‘বাদ শব্দটা আমি বিশ্বাস করি না। কেন নেওয়া হয়নি সেটা আমি জানি না। আগের দিনই ফিটনেস টেস্ট পাস করেছিলাম। আমি আসলে নিজেকে আর বাংলার হয়ে খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারছিলাম না। তাই সরে দাঁড়ালাম।’’ যেতে যেতে তাই বলে গেলেন ‘‘আজ রাতে ভালভাবে ঘুমোব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement