ধৈর্যশীল: ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই কিছু বলছেন না কুম্বলে।
অনিল কুম্বলে মনে করছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেট নেওয়ার দক্ষতার উপরেই জোর দেওয়া উচিত ভারতীয় দলের। সম্প্রতি বিরাট কোহালিদের দলে বেশি অলরাউন্ডার খেলানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রাক্তন অধিনায়ক এবং কোচ কুম্বলে এই মতের পক্ষে নন। তিনি বিশ্বাস করেন, দল গঠনের সময় উইকেট তুলতে পারে এমন বোলারদেরই প্রাধান্য পাওয়া উচিত।
কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চহালকেও আর একসঙ্গে খেলাচ্ছে না ভারত। ভীষণ ভাবেই সফল কুল-চা জুটি ভেঙে ফেলে যে কোনও এক জনকে প্রথম একাদশকে রাখা হচ্ছে, ব্যাটিংয়ে গভীরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে। ২০২০ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় হবে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ। তার প্রস্তুতি হিসেবে নতুন বছরে বেশি করে টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারতীয় দল। কুম্বলে বলছেন, ‘‘আমি অবশ্যই উইকেট তুলতে পারে এমন বোলারদের বেশি করে খেলানোর পক্ষে। কুলদীপ এবং চহালের খেলা উচিত বলেই আমার মনে হয়।’’ যোগ করেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করতে বসে এখন থেকেই উইকেট তোলার ক্ষমতাকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। এমন বোলার নিতে হবে, যারা উইকেট তুলতে পারবে। যারা উইকেট তোলার জন্য বল করবে।’’ কুম্বলের আরও পর্যবেক্ষণ, ‘‘আমার মনে হয়, ভারতীয় দল অলরাউন্ডার বেশি খেলাতে চাইছে। কিন্তু উইকেট তোলার বিষয়কেই আমি বেশি গুরুত্ব দিতে চাইব।’’
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপের সময় দল নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ভুগতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে। যেমন চার নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিজয় শঙ্করের মতো আনকোরাকে ভাবা হয়েছিল। তেমনই মণীশ পাণ্ডে, শ্রেয়স আইয়ারের মতো তরুণদের উপেক্ষা দীনেশ কার্তিক, কেদার যাদবদের দলে নেওয়া হয়। ঋষভ পন্থকেও প্রথমে বাইরে রাখা হয়েছিল। পরে আহত শিখর ধওয়নের জায়গায় সুযোগ পান পন্থ। আসন্ন কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের আগেও দেখা যাচ্ছে, ফের দল নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি শুরু হয়ে গিয়েছে।
অস্ট্রেলীয় পরিবেশে কারা ভাল করতে পারবে, তার উপর প্রতিযোগিতার ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করবে বলে মত কুম্বলের। ‘‘ভারতীয় দলের উচিত এখন থেকেই ভেবে ফেলা, অস্ট্রেলীয় পরিবেশে কারা সফল হতে পারে। সেই সঙ্গে উইকেট তুলতে পারে এমন বোলারদের চিহ্নিত করে ফেলতে হবে।’’ বার বার উইকেট তোলার দক্ষতার উপর কেন এত জোর দিচ্ছেন তিনি? কুম্বলের সোজাসাপ্টা জবাব, ‘‘কারণ, উইকেট তুললে তবেই না প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করা যাবে।’’
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে কুম্বলে বলেন, আইপিএলের পরেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো জায়গা তৈরি হবে। একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিংবদন্তি লেগস্পিনার বলেন, ‘‘আইপিএলে এম এস কেমন করছে, তার উপরই সব কিছু নির্ভর করছে। এটাও দেখতে হবে যে, ভারতীয় দল কী ভাবছে ওকে নিয়ে। দল কী এখনও মনে করছে, এম এস-কে ওদের দরকার আছে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তা হলে আইপিএলের পরে বিশ্বকাপে ওকে দেখা যেতে পারে। তবে তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’’
হেড কোচ রবি শাস্ত্রী-সহ ভারতীয় দল পরিচালন সমিতি কে এল রাহুলকে রিজার্ভ উইকেটকিপার হিসেবে দেখতে চায়। কুম্বলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১০-১২টি ম্যাচ আগে এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাহুল কর্নাটকের হয়েও কিপিং করেছে। ওকে কাজে লাগানো যেতেই পারে।’’