চলতি টেস্ট সিরিজটা আমার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের সবচেয়ে হতাশজনক। হার আর চোট দু’টো আলাদা ব্যাপার। কারণ আমাদের সেটা মেনে নিতে হয় এই ভেবে যে, চোটটা খেলারই অঙ্গ। কিন্তু শেষ কয়েকটা টেস্ট আমার কাছে যেন ভয়ঙ্কর! সবচেয়ে খারাপ লাগছে যে, সিরিজ হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়াটা মাঠের বাইরে বসে দেখতে হল। তার চেয়েও কষ্টের ভাবতে বাধ্য হওয়া যে, ভারতের মাটিতে আমি বোধহয় আর কোনও টেস্ট উইকেট নিতে পারব না!
যে তেতো বড়িটা গেলা সবচেয়ে কঠিন তা হল, এখানে আমার টেস্টের রাস্তা শেষ হয়ে যাওয়া। পরের ভারত সফরে আমার বয়স ৩৬ পেরিয়ে যাবে। ওই বয়সে পেসার হিসেবে আমি আর এ দেশে আসতে চাইব না। কুঁচকির চোট সারাতে আমি প্রচুর পরিশ্রম করেছি। কিন্তু সেটাই সব নয়। গত তিন সপ্তাহের ট্রেনিংয়ের পরে সত্যি বলতে আমি আগের মতোই ফিট। কিন্তু যখনই কুঁচকির প্রশ্ন আসছে প্রতি দিন সেটা আমাকে বলছে, ‘সরি, আমরা আর ২০ ওভার টানতে পারব না তোমাকে!’
এই অবস্থায় একটাই স্বপ্ন— দেশে যেন মাথা উঁচু করে ফিরতে পারি। ভারতীয় দর্শকদেরও যেন বোঝাতে পারি, আমাদের টিমকে এক নম্বর বলাটা এখনও ন্যায্য। অবশ্যই কাজটা কঠিন। তবে কোটলার কন্ডিশন অন্তত আমাদের জন্য চূড়ান্ত খারাপ নয়। এখানকার পিচ নিয়ে আমাদের দলের এক্সপার্টদের রিপোর্ট হল, কোটলাটা ঠিক তিন দিনের সারফেস দেখাচ্ছে না! আশা করা যাক, ওরা ঠিক!