এই যে অশ্বিন ফর্মে ফিরল, আমি চাইব হরভজন সিংহ অফস্পিনারদের আইকন হয়ে উঠুক এ বার। আপাতত ভাজ্জি ভাল খেলছে। নিজেকে নিয়ে যে কথাটা কোনও চ্যাম্পিয়ন শুনতে চায় না। গ্রেটরা চায় বাকিদের উপর কর্তৃত্ব জাহির করতে। আর এখন সবার প্রিয় ভাজ্জি কিছুটা কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে কাটানো ক’বছরে ওয়াংখেড়েতে হরভজনের ভূমিকাটা রক্ষণাত্মক থেকেছে। ওখানকার পিচ পেসারদের বেশি সাহায্য করে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিমেও তাই পেসার বেশি। এই ক’বছরে বিপক্ষকে আটকানোর কাজটা দারুণ ভাবে করেছে মালিঙ্গা আর হরভজন। তবে এ বছর ভাজ্জির কাজ কিছুটা কঠিন হয়ে গিয়েছে।
ক্রিকেট সত্যিই খুব মজার খেলা। স্ট্যাটসের গোলকধাঁধায় বেশির ভাগ সময়ই আসল গল্পটা হারিয়ে যায়। বাস্তবটা হল, মুম্বই ব্যাট হাতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। কম রানের পুঁজি নিয়ে বল করতে নেমে উইকেটের খোঁজে হরভজনকে আক্রমণ করতেই হয়েছে। সেটা ওর পছন্দ হোক বা না হোক।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দ্রুতই দু’দশক পূর্ণ করবে ভাজ্জি। এখনও ওর শরীরে জড়তা নেই, বাড়তি মেদ নেই। ওর মধ্যে এখনও একটা ছটফটে ভাব আছে। আর আছে প্রচণ্ড খিদে। নিজের মনের মধ্যে ও এখনও একজন যোদ্ধা। ইদানীং দেখছি ব্যাটসম্যান বা আম্পায়ারদের সঙ্গে ও খুব বেশি কথা বলছে না। হয়তো বা উইকেটকিপার খুব বেশি বল গলালে এক বার ভ্রু কুঁচকে তাকাচ্ছে। তার পর ডাগআউটেও সচিন পাজির সঙ্গে সঙ্গে থাকছে। একটা হাত সব সময় নিজের ব্যাটে। ব্যাটের ধার-কানা সব দেখে নিচ্ছে।
আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি ভাজ্জি গর্জে উঠবে। আজই ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ খেলবে মুম্বই। বছরের এই সময় দেশের বাকি পিচ স্পিনারকে সাহায্য করবে। বেঙ্গালুরু ছাড়া। টিম সাউদি বা জসপ্রীত বুমরাহদের টিমে থাকা খুব ভাল। কিন্তু মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলটার হৃদস্পন্দন হল ভাজ্জি।
বিপক্ষে থাকা কলকাতার স্পিন-প্রতিভাদের সঙ্গে লড়াইটাও ভাজ্জির মোটিভেশন হতে পারে। গম্ভীরের বেশির ভাগ বোলার রিস্ট স্পিনার হলেও মনে মনে ভাজ্জি এ ধরনের প্রতিযোগিতা দারুণ ভালবাসে। আর পাগড়ির তলা থেকে নতুন ভেলকি বের করে আনার ক্ষমতা এখনও ওর আছে। অধীর অপেক্ষায় থাকলাম।