গোলের পর উচ্ছ্বসিত ফেরেরা। ছবি: সংগৃহিত।
পুণে সিটি ২ (ফেরেরা, জুরদো)
অ্যাটলেটিকো কলকাতা ১ (হিউম)
প্রথম থেকেই লড়াই কলকাতা বনাম পুণের থেকে বেশি হাবাস বনাম কলকাতার হয়ে গিয়েছিল। হাবাসের প্রাক্তন দল। তাঁর হাত ধরেই আইএসএল-এর প্রথম চ্যাম্পিয়ন কলকাতা। শুধু তিনিই নন এই দলে আরও একজন রয়েছেন তিনি প্রথম বছর কলকাতায় ছিলেন কলকাতা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। দ্বিতীয় বছর ছিলেন চেন্নাইয়ে সেবার চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এ বার পুণেতে রয়েছেন তিনি। যদিও পুণের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তেমন সুযোগ নেই। তবুও সেই দলের শেষরক্ষণ এদেল বেটের হাতে রবিবার পর পর আটকে গেল কলকাতার আক্রমণ।
ঘরের মাঠে এদিন জয়ে ফিরতে মুখিয়ে ছিলেন অ্যান্তোনিও হাবাস। তাও যখন প্রতিপক্ষ কলকাতা। তাই যেন খিদেটাও ছিল অনেক বেশি। প্রথম থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছিল পুণে। যার ফল ৪১ মিনিটেই হাবাসের দলের এগিয়ে যাওয়া। জোনাথন লুকার ক্রস থেকে ফেরেরার গোল। তার আগেই চোট পেয়ে প্রায় হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন ফেরেরা। পোস্তিগার সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে চোখের নিচে ভয়ঙ্কর চোট পান তিনি। লুটিয়ে পড়েছিলেন মাঠে। অ্যাম্বুলেন্স যখন মাঠে ঢোকার প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনই ফেরেরা খেলায় ফেরেন। কিন্তু গোল করেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে স্ট্রেচারে করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে পুমের হয়ে ব্যবধান বাড়ান জুর্দো রডরিগেজ। ২-০ গোলে পিছিয়ে পরে পুণে সিটি। এর পর পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান ইয়ান হিউম। যদিও হিউমের প্রথম শট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন বেটে। কিন্তু বল দখলে রাখতে পারেননি। ফিরতি বলে হিউমের শট চলে যায় গোলে। হাবাসের কাছে হেরে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরেই থেকে গেল কলকাতা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে ছ’নম্বরে উঠে এল পুণে।
আরও খবর
নর্থ-ইস্টকে হারিয়ে মুম্বই আবার শীর্ষে