আজহারউদ্দিন মল্লিকের জোড়া গোলেই জয় পেল মোহনবাগান। ছবি: মোহনবাগানের ফেসবুক পেজ থেকে।
মহমেডান ১ (শেখ ফৈয়াজ)
মোহনবাগান ২ (আজহারউদ্দিন-২)
শুরুটা করেছিল মহমেডানই। কিন্তু সোমবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে মিনি ডার্বির মঞ্চ লেখা থাকল মোহনবাগানের নামেই। তাও শেষ মুহূর্তে সেই আজহারউদ্দিনই বাঁচালেন বাগানকে। সমতায়ও ফিরিয়েছিলেন তিনিই। শুধু মোহনবাগান নয় মিনি ডার্বি লেখা থাকল আজহারউদ্দিনের নামেও। ২-১ গোলে জিতে আবার লিগ টেবলের শীর্ষে পৌঁছে গেল মোহনবাগান। এক ম্যাচ ড্র করেও আবার নতুন করে চ্যাম্পিয়নশিপের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে দিল সবুজ-মেরুন।
আরও পড়ুন
হস্তান্তর হয়ে গেল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন
মেসির হ্যাটট্রিকে লিগ শীর্ষে বার্সেলোনা
ম্যাচ শুরুর ২১ মিনিটের মধ্যেই গোল করে মহমেডানকে এগিয়ে দিয়েছিলেন শেখ ফৈয়াজ। গোলের পিছনের কারিগর সেই দিপান্দা ডিকা। দিপান্দার পাস থেকে ফৈয়াজের বাঁ পায়ের শট আটকাতে ব্যর্থ বাগান গোলকিপার শিলটন পাল। এর পর বেশ কিছুক্ষণ মহমেডানের আক্রমণ চলতে থাকে। সেখান থেকেই পাল্টা আক্রমণে মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান আজহারউদ্দিন মল্লিক। ৩৭ মিনিটে ডানদিক থেকে কামোর পাস ধরেই ফিনিশ করলেন আজহারউদ্দিন। হ্যাটট্রিকও করতে পারতেন আজহার। যদি না শঙ্কর বাঁচিয়ে দিতেন। মহমেডান গোলের নিচে বার কয়েক মোহনবাগানের নিশ্চিত গোলের সুযোগ বাঁচালের শঙ্কর। এর পর গোল পাল্টা গোলের পালা চললেও কেউই আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। কিন্তু শেষ বেলায় বাজিমাত আজহারউদ্দিনের। অতিরিক্ত সময়ে অনবদ্য একটা হেডেই হতাশা নেমে এল সাদা-কালো শিবিরে। লিংদোর একটা ক্রসে লাফিয়ে আজহারের সেই হেডেই লেখা ছিল সবুজ-মেরুনের জয়ের ঠিকানা।
এই ম্যাচের উপর অনেকটাই নির্ভর করছিল দুই দলের ভাগ্য। হারলে অনেকটাই চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে যাওয়া। জিতলে কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া ট্রফির। সেই মতো শেষ বেলায় ম্যাচ ছিনিয়ে যেন ট্রফি জয়ের ইঙ্গিত দিয়ে রাখল মোহনবাগান। সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে আবার সমানে সমানে লড়াইয়ে ফিরে এল শঙ্করলালের দল। সাদা-কালো শিবিরে শুধুই হতাশা। লিগ টেবলের তিন নম্বরে থাকা মহমেডানের পক্ষে চ্যাম্পিয়নশিপে ফিরে আসাটা বেশ কঠিন। কিন্তু হারলেও ম্যাচে ছাপ রেখে গেলেন মহমেডান গোলকিপার শঙ্কর। শেষ বেলায় যে ভাবে কামো, ক্রোমার নিশ্চিত গোলমুখি শট বাঁচালেন তাতে বড় দলের ডাক এল বলে।