মুস্তাক আলি ট্রফিতে ব্যর্থ কেকেআর ক্রিকেটাররা ফাইল চিত্র
সদ্য সমাপ্ত সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খুব ভাল খেলতে পারেননি কেকেআরের ক্রিকেটাররা। চ্যম্পিয়ন হওয়া তামিলনাড়ুর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক, কেরল বোলার সন্দীপ ওয়ারিয়ার ও দিল্লির ব্যাটসম্যান নীতিশ রানা ছাড়া সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি কেউই। কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়ক কার্তিক ৮ ম্যাচ খেলে ১৮৩ রান করেছেন। মাত্র ৫ ম্যাচ খেলে ১৮৩ রান করেছেন নীতিশ। অন্যদিকে ওয়ারিয়ার ৬ ম্যাচে পেয়েছেন ৭টি উইকেট। উইকেট রক্ষক হিসেবেও বেশ সফল প্রাক্তন নাইট অধিনায়ক। উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ৭টি ক্যাচ ও ১টি স্টাম্প করেছেন তিনি। নীতিশ রানা ও দীনেশ কার্তিক সমসংখ্যক রান করলেও স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন দিল্লির ব্যাটসম্যান। দীনেশ কার্তিকের স্ট্রাইক রেট ১৫৭.৭৫। আর রানার স্ট্রাইক রেট ১৬৪.৮৬।
গোটা টুর্নামেন্টে ব্যর্থ উত্তর প্রদেশের ব্যাটসম্যান রিঙ্কু সিংহ ও মহারাষ্ট্রের হয়ে খেলা রাহুল ত্রিপাঠি। উত্তর প্রদেশের হয়ে খেলা বোলার শিভম মাভিও দাগ কাটতে পারেননি। ২ ম্যাচে মাত্র ২০ রান করেছেন রিঙ্কু সিংহ। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ৬ ও রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ১৪ রান করে আউট হন তিনি। ৩ ম্যাচে মাত্র ২১ রান করতে পেরেছেন রাহুল ত্রিপাঠি। গুজরাটের বিরুদ্ধে ৫, ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে ১৪ ও উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। অন্যদিকে, বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৩ ম্যাচ খেলেও কোনও উইকেট পাননি শিভম মাভি। কর্ণাটকের হয়ে খেলা প্রসিধ কৃষ্ণ ৬ ম্যাচে ৫ উইকেট পেয়েছেন।
আইপিএলের আগে প্রস্তুতির সেরা মঞ্চ ছিল সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি। সেখানে কেকেআর ক্রিকেটাররা ভাল করতে না পারায় চিন্তায় কলকাতার সমর্থকরা। তবে ভারতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ায় সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলননি শুভমন গিল, কুলদীপ যাদবরা। দুজনেই অস্ট্রেলিয়া সফরে ভাল খেলেছেন। টেস্ট সিরিজে গিলের ব্যাটিং নজর কেড়েছে সকলেরই। চোট ছিল বরুণ চক্রবর্তীর। চোট সারলেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ায় মুস্তাক আলি ট্রফির নক আউট পর্বে খেলতে পারেননি তিনি। কোভিড আক্রান্ত হন কমলেশ নাগারকোটি। তবে এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি। আইপিএলের আগেই বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলতে দেখা যেতে পারে এই সমস্ত ক্রিকেটারদের। এখন দেখার এই টুর্নামেন্টে ফর্মে ফিরতে পারেন কিনা মুস্তাক আলি ট্রফিতে ব্যর্থ হওয়া ক্রিকেটাররা।