হতাশা: মুম্বই ম্যাচে গ্যালারিতে মেয়ে সুহানার সঙ্গে শাহরুখ। আইপিএল
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রবিবার ফের খেলতে নামছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রতিপক্ষ সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ। তিন সপ্তাহ আগেই হায়দরাবাদকে সাত উইকেটে নাইটরা হারিয়েছিল শুভমন গিলের ব্যাটিংয়ের দাপটে। কিন্তু এই মুহূর্তে একেবারেই স্বস্তিতে নেই নাইট শিবির। অধিনায়কের মুকুট পরিবর্তনের পাশাপাশি নাইট শিবিরে চিন্তা সুনীল নারাইনের অ্যাকশন নিয়ে। রবিবার আবু ধাবিতে দুপুরের ম্যাচে নারাইনকে ফেরানো হয় কি না সেটাই প্রশ্ন। নাইট সূত্রে খবর, নারাইনের অ্যাকশন অনেকটাই পাল্টে ফেলা হয়েছে। ম্যাচ খেলতে তাঁর কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এই মুহূর্তে আট ম্যাচে আট পয়েন্ট কেকেআরের। সমসংখ্যক ম্যাচে সানরাইজ়ার্সের পয়েন্ট ৬। ফলে রবিবার কেকেআর জিতলে যেমন এগোবে, তেমনই হারলে হায়দরাবাদ পয়েন্টের বিচারে ধরে ফেলবে তাদের। সে কারণেই পর পর দুই হারের পরে ডেভিড ওয়ার্নারদের বিরুদ্ধে জিততে মরিয়া কেকেআর। একই দিনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নামছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে।
নাইট রাইডার্স অধিনায়ক অইন মর্গ্যান বলেছেন, ‘‘শুরুর দিকে আমাদের ব্যাটসম্যানেরা কিছু ভুল করেছে। দ্রুত তা শুধরে নিতে হবে।’’ পাশাপাশি কেকেআরের ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও মর্গ্যানের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ব্যাটিং শক্তি ও গভীরতা অনুযায়ী, প্রতিপক্ষ বা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।’’
বিপক্ষ সানরাইজ়ার্সের ব্যাটিং গভীরতা অনেকটাই নির্ভরশীল ডেভিড ওয়ার্নার, জনি বেয়ারস্টো, মণীশ পাণ্ডে এবং কেন উইলিয়ামসনের দক্ষতার উপরে। তাই রবিবার বিপক্ষের এই চার ব্যাটসম্যানকে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরানোও একটা বড় পরীক্ষা কেকেআর বোলারদের। তবে নাইটদের পক্ষে ভাল খবর, শেষ দুই ম্যাচে সানরাইজ়ার্সের আফগান স্পিনার রশিদ খানের ছন্দে না থাকা। পাশাপাশি, ব্যাট হাতে আন্দ্রে রাসেলের দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখতে মুখিয়ে রয়েছে কিং খানের দল।
অন্য দিকে, কেকেআরকে আট উইকেটে হারিয়ে রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও। লিগ তালিকার একদম শীর্ষে ও শেষে থাকা দুই দলের দ্বৈরথের আগে মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেছেন, ‘‘ধীরে ধীরে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছে ছেলেরা। কেকেআরের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে জেতার মজাটাই ছিল আলাদা। তবে আমাদের কাছে সব ম্যাচের গুরুত্বই সমান। প্রত্যেক ম্যাচ আমরা একই মানসিকতা নিয়ে খেলি।’’