কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের দশা সেই ভাগচাষীর মতো

এমন কোনও টিম আছে কি যাদের সব আছে কিন্তু আইপিএল যুদ্ধের বাইরে? টেকনিক্যালি এ রকম কোনও দলের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবকে বলা যেতে পারে হাসপাতালে জীবনদায়ী সিস্টেমে রয়েছে। ওরা সেই ভাগচাষীর মতো— যাদের নিজেদের জমিজমা নেই। নিজেদের ফলানো ফসলের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই।

Advertisement

রবি শাস্ত্রী

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৫ ০৩:২২
Share:

এমন কোনও টিম আছে কি যাদের সব আছে কিন্তু আইপিএল যুদ্ধের বাইরে?

Advertisement

টেকনিক্যালি এ রকম কোনও দলের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবকে বলা যেতে পারে হাসপাতালে জীবনদায়ী সিস্টেমে রয়েছে। ওরা সেই ভাগচাষীর মতো— যাদের নিজেদের জমিজমা নেই। নিজেদের ফলানো ফসলের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই। নিজেদের পরিশ্রমে অন্যদের মোটাসোটা বানিয়ে তোলে। কেবল গতবারের আইপিএলের শুরুর মতো চোখধাঁধানো পারফরম্যান্সই এখন ওদের ছবিটা পাল্টে দিতে পারে। তবে সেটাও খুব বাড়াবাড়ি ধরনের আশা হয়ে যাচ্ছে।

বাকি সব দল সম্পর্কে এই মুহূর্তে প্রশান্ত চিন্তা— তাদের মোড় যে কোনও দিকেই ঘুরতে পারে টুর্নামেন্টে। রাজস্থান রয়্যালস আর চেন্নাইয়ের তার মধ্যে ভয়টা কম। তবে পা‌শপাশি নতুনদের উত্থানে ওদের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ হওয়ার একটা আশঙ্কাও কিন্তু থাকছে। এই দু’দল অনেকবারই প্যাঁচে পড়ছে কিন্তু এখনও সে ভাবে চিৎপাত হয়নি।

Advertisement

অন্য দিকে পথে কোনও বিয়ের শোভাযাত্রা দেখে কারও সন্দেহ জাগতে পারে যে, সেই ভিড়ে এমন কয়েক জন আছে যারা ন্যায্য নিমন্ত্রিত নয়। দিল্লি আর মুম্বই মঙ্গলবার নিজেদের মধ্যে লড়বে। এবং ওই রকম কোনও তুলনায় প্রতিবাদ জানাতেই পারে। মুম্বই টানা তিনটে জিতেছে, এবং আরও তিনটে জেতার ক্ষমতা আছে ওদের। দিল্লি আবার কয়েক দিন আগেই মুম্বইকে হারানোর যে আত্মবিশ্বাসে ওজনদার হয়ে রয়েছে সেই পালকটা নিশ্চয়ই মাথা থেকে পড়তে দেবে না দু’দলের ফিরতি ম্যাচে। ওরা দু’টো খেলায় হেরেছে ম্যাচের শেষ বলে। সুতরাং মঙ্গলবার যে কেউই অন্যের উপর শাসন কায়েম করতে পারে।

দু’টো দলে বিরক্তিকর এবং নিয়মিত ওপেনার আছে। মুম্বইয়ে সিমন্স আর পার্থিব পটেলের নামের পাশে যখন আন্তর্জাতিক তকমা রয়েছে, তখন নতুন ঘরোয়া শক্তি মায়াঙ্ক অগ্রবাল আর শ্রেয়াস আইয়ারের মাধ্যমে দিল্লি অনেককে চমকে দিচ্ছে। দু’দলের আগের লড়াইয়ে আইয়ার পাঁচটা ছক্কা হাঁকিয়েছিল।

দু’দল তবে একটা ব্যাপারে গর্ব বোধ করতে পারে। দু’দলই তাদের অনেক তারকাকে হারিয়েও বীরদর্পে লড়ে চলেছে। মুম্বই চোটে হারিয়েছে অ্যারন ফিঞ্চ, কোরি অ্যান্ডারসনের মতো প্লেয়ারকে। দিল্লি খুইয়েছে মহম্মদ শামিকে। জাহির খান সবে মাঠে নেমেছে। যুবরাজ সিংহের মধ্যে এখনও প্রাণসঞ্চার ঘটেনি। নিজের দিনে ওর মহামূল্য সুদেআসলে চুকোনোর ক্ষমতা এই দুর্দান্ত অলরাউন্ডারের ভেতর আছে। যে রকম দিন হয়তো মঙ্গলবারই আসতে পারে।

দু’টো দলেরই কাছে এখন নিজেদের একটা ভুল পদক্ষেপ তাদের গা়ড্ডায় নিক্ষেপ করতে পারে। ছেলেবেলার সাপ-লু়ডো খেলার মতো অবস্থা এখন অনেক টিমের। ধীরে চলার দিন আইপিএল আট কিন্তু ফেলে এসেছে। এখন সব ম্যাচই প্রথম চারে থাকার লড়াই। বাঁচা-মরার মাঝামাঝি কোনও জায়গা আর পড়ে নেই!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement