ছয় পয়েন্টের ব্যবধান রাখাই পরীক্ষা কিবুর

পরপর ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রয়েছে জোসেবা বেইতিয়াদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২০ ০৬:৩৬
Share:

অস্ত্র: চেন্নাইকে হারাতে আজ কোচ তাকিয়ে বেইতিয়ার দিকে। ফাইল চিত্র

টানা আট ম্যাচ অপরাজিত থাকার সুযোগ। সঙ্গে লিগ টেবলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পঞ্জাবের সঙ্গে ছয় পয়েন্টের ব্যবধান রাখার চ্যালেঞ্জ। এই আবহে গত বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সিটি এফ সি-র মুখোমুখি হওয়ার আগে সতর্ক মোহনবাগান কোচ কিবু ভিকুনা। বৃহস্পতিবার তিনি বলে দিয়েছেন, ‘‘চেন্নাই লিগ টেবলের নিচের দিকে থাকলেও যথেষ্ট শক্তিশালী দল। ওরা পাসিং ফুটবল খেলে। পাল্টা আক্রমণে আসে। তা ছাড়া ওরা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। কঠিন ম্যাচ খেলতে এসেছি আমরা।’’

Advertisement

পরপর ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রয়েছে জোসেবা বেইতিয়াদের। গোলের মধ্যে রয়েছেন লা লিগায় খেলে আসা সেনেগালের স্ট্রাইকার পাপা বাবাকর জিওহারা। তাতেও অবশ্য স্বস্তি পাচ্ছেন না সবুজ মেরুনের স্পেনীয় কোচ। এর কারণ দুটো, এক) দলের নির্ভরযোগ্য স্টপার ড্যানিয়েল সাইরাস চোটের জন্য বাইরে চলে গিয়েছেন। তার জায়গায় ফ্রান গঞ্জালেস, না গুরজিন্দরকুমার কাকে খেলাবেন তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন তিনি। দুই) লিগ টেবলে মোহনবাগানকে তাড়া করছে পঞ্জাব সিটি এফ সি। ফ্রান মোরান্তেদের মতো লুধিয়ানার দলটিও একের পর এক ম্যাচ জিতছে।

গত বছর ঘরে বা বাইরে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও ম্যাচই জেতেননি পালতোলা নৌকার সওয়ারিরা। একটি ম্যাচ আকবর নাওয়াসের দল জিতেছে, অন্যটা ড্র হয়েছে। এ বার অবশ্য ছবিটা একেবারেই অন্যরকম। চেন্নাইকে চ্যাম্পিয়ন করে যাওয়া স্পেনীয় ফুটবলাররা অনেকেই দল ছেড়েছেন। তা ছাড়া এ বার একেবারেই খেলতে পারছে না দক্ষিণের দলটি। সাত ম্যাচে মাত্র দুটো জিতেছে তারা। রয়েছে লিগ টেবলে নয় নম্বরে। শুধু তাই নয়, ১২ গোল খেয়েছে চেন্নাইয়ের রক্ষণ। শেষ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের কাছেও দু’গোল খেয়েছে তারা। কোচ আকবর তাই বলে দিয়েছেন, ‘‘আমি রক্ষণ নিয়ে সত্যিই চিন্তিত। এমন সব ভুল হয়ে যাচ্ছে, যে গোল খেয়ে যাচ্ছি।’’ চেন্নাইয়ের অন্যতম গোল করার অস্ত্র আদোলফো মিরান্দা অবশ্য কোচের পাশে বসেই বলে দিয়েছেন, ‘‘মোহনবাগান শীর্ষে থাকলেও তাদের হারানোর ক্ষমতা রাখি আমরা। গোকুলমের মতো দলকে হারিয়েছি। তা হলে মোহনবাগানকে হারাতে পারব না কেন? নিজেদের উপর আমাদের আস্থা আছে।’’

Advertisement

মোহনবাগান আই লিগের একমাত্র দল যারা নয় ম্যাচে সর্বাধিক ১৭ গোল করেছে। এবং মাত্র সাত গোল খেয়েছে। কোয়েম্বত্তূরে বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুশীলন করেছে মোহনবাগান। শুক্রবার তাদের খেলা ফ্লাড লাইটে। সাইরাসের জায়গায় কাকে খেলাবেন তা বুঝতে দেননি মোহনবাগান কোচ। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে স্টপারে ফ্রান মোরান্তের সঙ্গে খেলিয়েছেন ফ্রান গঞ্জালেস এবং গুরজিন্দারকুমারকে। ফ্রানকে স্টপারে খেলানোর সময় কোমরান তুর্সিনভকে খেলিয়েছেন মাঝমাঠে। রাতের খবর পাঁচ বিদেশিকেই খেলাবেন ঠিক করেছেন কিবু। বলে দিয়েছেন, ‘‘দল ঠিক করব ম্যাচের দিন সকালে। এটুকু বলছি, ড্র নয় আমরা তিন পয়েন্টের জন্যই খেলতে এসেছি। সাইরাস আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। মাঠে দলকে নেতৃত্ব দেয়। উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু ওর বদলে যেই খেলুক সেটা সেই ফুটবলারের কাছেও তো একটা চ্যালেঞ্জ।’’

প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচ। জিতলে মোহনবাগান শেষ করবে ২৩ পয়েন্টে। কত পয়েন্ট পেলে দল চ্যাম্পিয়ন হবে বলে মনে করছেন? কিবু বলে দিয়েছেন, ‘‘আমি কোনও পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি না। ম্যাচ ধরে ধরে এগোচ্ছি। আই লিগে সব দলই শক্তিশালী। ফলে কাউকে কম গুরুত্ব দিয়ে দেখার কারণ নেই।’’

শুক্রবার আই লিগে: চেন্নাই সিটি এফ সি বনাম মোহনবাগান (চেন্নাই ৭-০০)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement